রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর (সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি:
জলবায়ু পরিবর্তন জনিত কারণে উপকূল এলাকা থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে লাল শাপলা। কয়েক বছর পূর্বে উপকুলীয় এলাকা সাতক্ষীরার শ্যামনগরের বিভিন্ন এলাকার খাল-বিলে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকত হাজার হাজর শাপলা ফুল। রং-বেরংয়ের শাপলার বাহারী রূপ দেখে চোখ জুড়িয়ে যেত। এখন গ্রামের পর গ্রাম ঘুরলেও সেই শাপলার বাহার দেখা খুব কম মিলছে।
বর্ষা থেকে শীত পর্যন্ত বিল জলাশয় ও নিচু জমিতে প্রাকৃতিকভাবে এ শাপলা জন্মাতো। স্থানীয় প্রবীণ ব্যক্তি নজরুল ইসলাম বলেন জমিতে অধিক মাত্রায় কীটনাশক প্রয়োগের ফলে এখন সেই শাপলা ক্রমশই হারিয়ে যেতে বসেছে। এক সময় এ এলাকার মানুষ শাপলার ফল দিয়ে সুস্বাদু খৈ ভাজতো।
এখনও দেখা যায় স্থানীয় অনেক ব্যক্তি শাপলার মেীসুমে শাপলা বিক্রী করে অর্থ উপার্জন করে থাকেন।
স্থানীয় শিক্ষক মিজানুর রহমান জানান, শাপলার ভেষজ গুণও কম নয়। শাপলা সাধারণত লাল ও সাদা রংয়েরই চোখে পড়ে। এর মধ্যে লাল ও সাদা ফুল বিশিষ্ট শাপলা সবজি হিসেবে ভোজন রসিকরা খায়। তবে লাল রংয়ের শাপলা ঔষধি কাজে ব্যবহৃত হয়। লাল ও সাদা রংয়ের শাপলা খুব পুষ্টি সমৃদ্ধ সবজি।
নকশীকাঁথার পরিচালক চন্দ্রিকা ব্যানাজী জানান, চাষের জমিতে অধিক মাত্রায় আগাছা নাশক ও কীটনাশক প্রয়োগ করা ও নিচু জলাশায় জমি ভরাট করে বসতি স্থাপন করার কারনে শাপলার বংশ বিস্তার কমে যাচ্ছে।
স্থানীয় অনেকে মত প্রকাশ করে বলেন উপজেলায় লবন পানির চিংড়ী ঘের করার কারণে লবনাক্ততার প্রকোপে লাল শাপলা বা শাপলা জাতীয় উদ্ভিদ হারিয়ে যাচ্ছে।
কৃষিবিদ আবুল কালাম বলেন, খাল-বিল ও আবদ্ধ জলাশয়গুলো দিন দিন শুকিয়ে যাওয়ার কারণে শাপলার শালুক নষ্ট হচ্ছে। এর ফলে শাপলার বংশ বিস্তার বাঁধার সম্মুখীন হচ্ছে।
এলাকার অভিজ্ঞ মহলের মতে বাংলাদেশের জাতীয় ফুল শাপলা । অযন্তে অবহেলায় লাল শাপলা হারিয়ে যেতে বসেছে। লাল শাপলা সহ সকল প্রকার শাপলার বংশ বিস্তারে সরকারী বেসরকারী ভূমিকা রাখা জরুরী।







