প্রখ্যাত লেখক হুমায়ূন আহমেদের প্রাক্তন স্ত্রী গুলতেকিন খান শুক্রবার (৩ অক্টোবর) ফেসবুক স্ট্যাটাসে তাদের দাম্পত্য জীবনের এক কষ্টদায়ক অধ্যায়ের কথা খুলে বলেছেন। পোস্টে তিনি বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে এক শীতে এক রাতে বাদ্ধবীজনে ঘরে ঠেলে বের করে দেওয়ার মতো এক ঘটনা বর্ণনা করেছেন।
গুলতেকিন লিখেছেন, তিনি এসব ব্যক্তিগত স্মৃতি ভাগ করছেন মূলত কিশোরী, তরুণী ও তাদের অভিভাবকদের সতর্ক করার উদ্দেশ্যে—যাতে কেউ তার মতো ভুল না করে। তার কথায়, বাধ্য হয়ে তিনি ওই দিন শীতের মধ্যেই বাড়ির বাইরে বেরিয়ে পড়েন; পরে কাছাকাছি একটি দোকান থেকে সাহায্য নিয়ে পরিচিত এক বন্ধুর মাধ্যমে নিরাপদ আশ্রয় পান। তখনকার ভয়াবহ পরিস্থিতি ও মানসিক যন্ত্রণার বর্ণনা পোস্টে আছে।
পোস্টে গুলতেকিন আরও জানান, সংসারে ঘটে যাওয়া নানা অনৈতিক আচরণ ও প্রকাশিত কিছু লেখা—যেমন ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ও ঘটনাকে নিয়ে রচিত কিছু উদ্ধৃতি—ও তাকে গভীর আঘাত দিয়েছিল। তিনি উল্লেখ করেন, সময়ে-সময়েই লেখক হুমায়ূন আহমেদ তাকে ছেড়ে যেতে বলতেন এবং রাগের জোরে ঘর থেকে বের করে দেওয়ার মতো আচরণ করেছেন। গুলতেকিন মনে করিয়ে দিয়েছেন, তিনি বহুবার নিজের ব্যক্তিগত বিষয়ে বাইরের আলোচনায় এড়িয়ে চলতে বলেছেন, কিন্তু তবুও এসব লেখা বাজারে উঠেছে।
পোস্টে গুলতেকিন তার কন্যা নোভা ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সতর্কবার্তা দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করা হচ্ছে যেন অন্য কোনো মেয়ে একই ভুলটা না করে এবং নিজের নিরাপত্তা ও মর্যাদা রক্ষা করতে শেখে।
প্রতিক্রিয়ায় অনেকে গুলতেকিনকে সমর্থন জানিয়েছেন। একই সঙ্গে এই পোস্টটি হুমায়ূন আহমেদের ভক্ত সমাজে মিশ্র প্রতিক্রিয়া বাড়িয়েছে।
গুলতেকিনের এই উন্মুক্ত বর্ণনা ব্যক্তি ও পারিবারিক ঘটনাবলীর একটি দিক প্রকাশ করেছে—যেখানে অন্ধকার স্মৃতি, ভীতি ও পরবর্তী নিরাপত্তার প্রত্যাশা একসঙ্গে থাকা দেখা যায়।







