মোঃ রেজাউল হক শাকিল, ব্রাহ্মণপাড়া:
বোরো ধানের সমলয় চাষাবাদ ব্লক প্রদর্শনীর ধান কম্বাইন হারভেস্টারে কর্তন করে ধান কর্তনের উদ্বোধন করলেন কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার ইউএনও মাহমুদা জাহান।
বৃহস্পতিবার ( ৮ মে ) সকালে উপজেলার শশীদল ইউনিয়নের আশাবাড়ি এলাকার পশ্চিম সংলগ্ন মাঠে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ ধান কর্তনের উদ্বোধন করেন তিনি।
এ সময় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মাসুদ রানার সভাপতিত্বে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ওই এলাকার প্রান্তিক কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, এ উপজেলায় ইরি-বোরো মৌসুমে ৫০ একর জমিতে সমলয় পদ্ধতিতে ব্রিধান৯২ জাতের ধান আবাদ করা হয়েছে। এতে কৃষকদের শ্রমিক, সার ও বীজ সাশ্রয় হয়েছে। এ পদ্ধতি অবলম্বন করায় ধানের ফলনও ভালো হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে কৃষি পুনর্বাসন সহায়তা খাত হতে রবি মৌসুমে বোরো ধানের (উফশী জাত) সমলয় চাষাবাদের মাধ্যমে ব্লক প্রদর্শনী স্থাপনের লক্ষ্যে কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার সকালে ধান কর্তনের শুভ উদ্বোধন করা হয়।
এর আগে ব্রিধান৯২ জাতের ধানের বীজ গত বছরের ১২ ডিসেম্বর অটোমেটিক সিড সোয়িং মেশিনের মাধ্যমে ট্রেতে ধানের বীজ বপন করা হয়। এর পর গত ২৩ জানুয়ারি রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে চারা রোপণ করা হয়।
ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মাসুদ রানা বলেন, খাদ্য চাহিদা মেটানোর জন্য ধানের আবাদ ও উৎপাদন বাড়ানো প্রয়োজন। সমলয় পদ্ধতিতে ধান আবাদ করলে কৃষক ভাইদের খরচ সাশ্রয় হয় এবং ফলন ভালো হয়। এতে কৃষক লাভবান হন।
তিনি বলেন, একটি কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন ঘন্টায় এক একর জমির ধান কর্তন করতে পারে। এতে কৃষক ভাইদের শ্রমিকের বাড়তি মজুরি গুনতে হয় না।
ইউএনও মাহমুদা জাহান বলেন, কৃষক বাঁচলে বাঁচবে দেশ। কৃষক ভাইদের উন্নয়ন হলেই দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে পারবে। তাই কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরামর্শ ও আধুনিক যন্ত্রপাতির সমন্বয়ে ফসল ফলালে ফলন ভালো হয়। এতে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পায়।