যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডির প্রায় সকল কর্মীকে ছাঁটাই বা ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
সংস্থাটি তাদের ওয়েবসাইটে এক নোটিশে বলেছে, জরুরি/নেতৃত্বদানকারী কর্মী ছাড়া ইউএসএআইডির সকল কর্মীকে প্রশাসনিক ছুটিতে পাঠানো হবে। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে স্থানীয় সময় রোববার রাত ১১টা ৫৯ মিনিট থেকে। নোটিশে আরও বলা হয়েছে, একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক প্রায় এক হাজার ৬০০ কর্মীকেও ছাঁটাই করা হবে।
আল জাজিরা বলছে, এনিয়ে কর্মীদের ২৩ ফেব্রুয়ারি মেইল করা হয়েছে। মেইলে নির্দেশনার পাশাপাশি তাদের সুবিধা-অধিকারের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ছাড়া জরুরি বা নেতৃত্বদানকারী কর্মী যারা কাজ চালিয়ে যাবেন তাদেরও মেইল করা হবে বলে সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
ইউএসএআইডিতে কাটছাঁট পদক্ষেপের তদারক করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র ও বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক এবং তার নেতৃত্বাধীন প্রশাসনের সরকারি দক্ষতা বিভাগ (ডিওজিই)।
চলতি মাসের শুরুর দিকে ইলন মাস্ক ইউএসএআইডির কড়া সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ইউএসএআইডি একটি সন্ত্রাসী সংগঠন।
গত ২ ফেব্রুয়ারি ইলন মাস্ক বলেন, মার্কিন জনগণের করের অর্থ দিয়ে জৈব অস্ত্র গবেষণায় অর্থায়ন করেছে ইউএসএআইডি। সেইসঙ্গে সংস্থাটি প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর জন্য অর্থ ব্যয় করেছে। তাই সময় হয়েছে সংস্থাটির ‘মরে যাওয়া’।
সেইসময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক্সে তিনটি পোস্ট শেয়ার করেন মাস্ক। সেখানে তিনি বলেছেন, আপনারা জানেন কী, ইউএসএআইডি আপনাদের করের অর্থে জৈব অস্ত্র গবেষণায় অর্থায়ন করেছে। এর মধ্যে কোভিড-১৯ এর মতো জীবাণুও অন্তর্ভুক্ত, যার কারণে কয়েক কোটি মানুষ মারা গেছেন।
একই সময়ে মাইক বেঞ্জের একটি টুইট শেয়ার করে ইলন মাস্ক বলেন, প্রোপাগান্ডা প্রচারের জন্য ইউএসএআইডি গণমাধ্যমগুলোকে বিপুল পরিমাণ অর্থ দিয়েছে। এরপর আরেকটি টুইটে তিনি ঘোষণা করেন, ইউএসএআইডির মৃত্যু হওয়াই উচিত।এরপর থেকে ইউএসএআইডির কর্মীদের ছাঁটাই চলছে।