রাজশাহী থেকে ঢাকা রুটে যাত্রীবাহী কোচ চলাচল বন্ধ রেখেছেন পরিবহন শ্রমিকরা। চালক, সুপারভাইজার ও সহকারীদের বেতন বৃদ্ধির দাবিতে রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টা থেকে তারা এই কর্মসূচি শুরু করেন। তবে একতা ট্রান্সপোর্টের বাস স্বাভাবিকভাবে চলাচল করছে।
হঠাৎ কোচ চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। কিছু বাস বিকল্প ব্যবস্থায় চলাচল করলেও শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ঢাকা অভিমুখে বাস ছাড়ায় নগরজুড়ে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
শ্রমিকদের অভিযোগ, ন্যাশনাল ও দেশ ট্রাভেলস দীর্ঘদিন ধরে চালক ও স্টাফদের কম বেতন দিয়ে আসছে। বর্তমানে চালকদের প্রতি ট্রিপে ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা, সুপারভাইজারদের ৫০০ টাকা এবং সহকারীদের ৪০০ টাকা দেওয়া হয়। শ্রমিকরা এসব বাড়িয়ে চালকদের ২ হাজার টাকা, সুপারভাইজারদের ৮০০ এবং সহকারীদের ৭০০ টাকা করার দাবি তুলেছেন।
ন্যাশনাল ট্রাভেলসের চালক আলী হোসেন বলেন, “দশ বছর ধরে একই বেতন পাচ্ছি। আগে আশ্বাস দেওয়া হলেও বাস্তবে কোনো পরিবর্তন হয়নি। তাই এবার একতা ট্রান্সপোর্ট ছাড়া সব কোচ বন্ধ রাখা হয়েছে। দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।”
একতা ট্রান্সপোর্টের ব্যবস্থাপক শরিফুল ইসলাম জানান, তাদের কোম্পানিতে অন্যদের তুলনায় বেতন বেশি—চালকদের ১,৮০০, সুপারভাইজারদের ৮০০ এবং সহকারীদের ৭০০ টাকা দেওয়া হয়। এ কারণে তারা পরিবহন চালু রেখেছেন।
রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম পাখি বলেন, মালিকদের পক্ষ থেকে সামান্য বেতন বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হলেও শ্রমিকরা তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। শিগগিরই মালিকদের সঙ্গে আবার আলোচনায় বসা হবে।
এ বিষয়ে রাজশাহী সড়ক পরিবহন গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম হেলালের মতামত নেওয়ার চেষ্টা করা হলেও তার ফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।