নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাড়িভাড়া ভাতা মূল বেতনের ৫ শতাংশ বা ন্যূনতম ২ হাজার টাকা নির্ধারণের সরকারি সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। তারা আজ (রোববার) সকাল ১০টা থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরুর ঘোষণা দিয়েছেন। একই সঙ্গে দেশের সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলমান কর্মবিরতি আরও জোরদার করার ঘোষণা এসেছে।
রোববার (১৯ অক্টোবর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রবিধি অনুবিভাগ থেকে জারি করা এক অফিস আদেশে বলা হয়, সরকারের বাজেট সীমাবদ্ধতা বিবেচনায় এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ভাতা মূল বেতনের ৫ শতাংশ হারে, সর্বনিম্ন দুই হাজার টাকা প্রদান করা হবে।
এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর বাড়িভাড়া ৫০০ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হলেও তা প্রত্যাখ্যান করে শিক্ষকরা আন্দোলনে নামেন। পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বাড়িভাড়া ভাতা অন্তত দুই বা তিন হাজার টাকায় উন্নীত করার প্রস্তাব অর্থ বিভাগে পাঠায়।
রোববার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে রাজধানীর শহীদ মিনার থেকে ‘ভুখা মিছিল’ নিয়ে শিক্ষা ভবনের দিকে যাত্রা শুরু করলে হাইকোর্টের মাজার গেটে পুলিশ ও বিজিবির বাধার মুখে পড়ে শিক্ষকরা। পরে বিকেল পৌনে ৫টার দিকে তারা শহীদ মিনারে ফিরে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন।
সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্যসচিব দেলাওয়ার হোসেন আজিজী আজ সকাল ১০টা থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচির ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, “আমরা শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরারের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করছি। এখন আমরা প্রধান উপদেষ্টার দিকে তাকিয়ে আছি।”
এর আগে আন্দোলনরত শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধিদল বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। বিকেলে ডাকসু ভিপি সাদেক কায়েম শহীদ মিনারে এসে আন্দোলনে সংহতি জানান।
অন্যদিকে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার শিক্ষক-কর্মচারীদের ক্লাসে ফেরার আহ্বান জানিয়েছেন। সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “শিক্ষকেরা যেন ক্লাসে ফিরে গিয়ে পাঠদান শুরু করেন—এই আবেদন জানাচ্ছি।”
উল্লেখ্য, মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া, চিকিৎসাভাতা ৫০০ টাকা থেকে ১,৫০০ টাকা এবং উৎসবভাতা ৫০ শতাংশ থেকে ৭৫ শতাংশ করার দাবিতে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের ব্যানারে ১২ অক্টোবর থেকে আন্দোলন চলছে। পুলিশের লাঠিচার্জ ও জলকামান নিক্ষেপের ঘটনার প্রতিবাদে ১৪ অক্টোবর থেকে সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মবিরতি চলছে।

