মোঃ আসাদুজ্জামান মিয়া, ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি:
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার সীমান্তবর্তী চন্ডিবিলা এলাকায় মৎস্যজীবী সৌখিন খানকে (২৬) হত্যার ঘটনায় শুক্রবার (২৭ জুন) রাতে বোয়ালমারী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহতের বাবা সাত্তার খান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে মধুখালী উপজেলার নওপাড়া গ্রামের মৃত সোলেমান মোল্যার ছেলে জব্বার মোল্যাকে (৩৭)। এ ছাড়াও আরও দুইজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। মামলার নম্বর ২৫। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
নিহত সৌখিন খান মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার পাল্লা চরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি দুই সন্তানের জনক। তার মেয়ে জন্ম থেকেই প্রতিবন্ধী বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
ঘটনার বিবরণ:
জানা যায়, গত বুধবার (২৫ জুন) দিবাগত রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে ফরিদপুরের বোয়ালমারী, মধুখালী ও মাগুরার মোহাম্মদপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী মধুমতি নদীতে মাছ ধরার সময় পূর্বশত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষ জব্বার মোল্যা বৈঠা দিয়ে আঘাত করলে সৌখিন খান নদীতে পড়ে যান এবং নিখোঁজ হন।
পরদিন বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল দীর্ঘ সময় উদ্ধার অভিযান চালালেও তার কোনো খোঁজ মেলেনি। অবশেষে শুক্রবার (২৭ জুন) সকালে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে মাগুরার চরপাচুড়িয়া খেয়াঘাট এলাকায় সৌখিন খানের ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মোহম্মদপুর থানার ওসি মোঃ আব্দুর রহমান বলেন, “সৌখিন খানের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাগুরা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।”
বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মাহমুদুল হাসান বলেন, “ঘটনার পর নিহতের বাবা বাদী হয়ে বোয়ালমারী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। প্রধান আসামিসহ তিনজন পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”
প্রসঙ্গ:
মৎস্যজীবীদের মধ্যে সংঘাতজনিত সহিংসতার এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকাজুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয়রা দাবি করছেন, নদীতে মাছ ধরার সীমানা নিয়ে আগেও কয়েক দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানোর দাবি উঠেছে।