মারুফ সরকার, প্রতিবেদক :
ছাত্র-জনতার রক্তক্ষয়ী অভ্যুথানে পতিত স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিদায়ের পর এদেশে এক নবদিগন্তের সূচনা হয়েছিলো৷ ২০১৭ সালের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই দল হিসাবে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএম আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রাজপথে সোচ্চার থেকেছে ৷ বিএনপির নেতৃত্বে হাসিনা পতনের একদফা দাবি আদায়ে যুগপৎ আন্দোলন করেছে এনডিএম। জুলাই গণঅভ্যুথানেও আমরা রাজপথে রক্ত ঝড়িয়েছি।
৫ই আগষ্ট হাসিনার পতনের পর নতুনভাবে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধে দল হিসাবে আওয়ামী লীগের বিচার চেয়ে অভিযোগ দায়ের করে এনডিএম ৷ একইসাথে আমরা আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের বিচারও চেয়েছি ৷ দু:খজনক হলেও সত্য, নতুন খসড়া আইনে এই ট্রাইবুনাল কর্তৃক সংগঠনের বিচার করার এখতিয়ার দেয়া হয় নাই।
তবে আমাদের লড়াই থেমে যায় নাই। আমাদের কথা পরিষ্কার, বাংলাদেশের পবিত্র জমিনে অগনিত ছাত্র-জনতা, রাজনৈতিক কর্মী, আলেম-ওলামা, শিল্পী, সাহিত্যিক, সাংবাদিকদের রক্ত ঝড়ানো আওয়ামী লীগ রাজনীতি করতে পারবে না ৷ আওয়ামী লীগকে ফিরিয়ে আনার যেকোন “প্রকল্প” আমরা রক্তের বিনিময়ে রুখে দিব ইনশাআল্লাহ।
নির্বাচন এবং রাজনীতি থেকে আওয়ামী লীগকে দূরে রাখতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দ্রুত আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে ৷ জনগণ এই ফ্যাসিবাদী শক্তিকে আর দেখতে চায় না।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ প্রশ্নে যেকোন আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথে থাকবে এনডিএম।এখানে কোন “ইফস” এন্ড “বাটস” নেই ৷ সরকারের ভিতরে বা বাইরে যারাই আওয়ামী লীগকে পুর্নবাসন করতে চাইবে তাঁদেরকেই জনগণের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে হিসাব দিতে হবে।
ইনশাআল্লাহ দেখা হবে রাজপথে এবং শ্লোগান হবে বিজয়ের মিছিলে।