শুক্রবার পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে দারুল উলুম হাক্কানিয়া মাদ্রাসায় দুপুরের নামাজের সময় এক আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী আত্মঘাতী বোমা হামলা চালায়। এতে অন্তত ছয়জন মুসল্লি নিহত এবং ১২ জনের বেশি আহত হয়। ওই অঞ্চলের পুলিশ একথা জানায়।
হাক্কানিয়া মাদ্রাসা খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে অবস্থিত। এতে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করেন। এটি দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম এবং সর্বাধিক সম্মানিত ইসলামিক মাদ্রাসাগুলোর মধ্যে একটি। আফগানিস্তানের তালিবানের শীর্ষ নেতারাও আকোরা খাট্টাক শহরের মাদ্রাসায় পড়াশোনা করেছেন।
নিহতদের মধ্যে মাদ্রাসার প্রধান মাওলানা হামিদুল হকও রয়েছেন। স্থানীয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন।
প্রাদেশিক পুলিশ প্রধান জুলফিকার হামিদ হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, বোমা হামলার তদন্ত চলছে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের কার্যালয় থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, তিনি এই ঘটনাকে ‘কাপুরুষোচিত ও জঘন্য সন্ত্রাসী হামলা’ বলে নিন্দা জানিয়েছেন।
বিস্ফোরণের দায় তাৎক্ষণিকভাবে কোনো গোষ্ঠী স্বীকার না করলেও ইসলামিক স্টেটের (আইএস) আঞ্চলিক গ্রুপ ইসলামিক স্টেট-খোরাসান বা আইএস-কে সন্দেহ করা হচ্ছে।
আফগানিস্তানভিত্তিক এই গোষ্ঠীটি খাইবার পাখতুনখোয়ায় অন্যান্য মাদ্রাসা হামলার দায় নিয়েছে বলে জানায় জাতিসংঘ।
আইএস-কে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে কাবুলে তালিবান সরকারের সাথে সংশ্লিষ্ট নেতা ও ধর্মীয় নেতাদের বিরুদ্ধে নিয়মিতভাবে বড় ধরনের হামলা চালিয়ে আসছে।
চলতি মাসে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের এক মূল্যায়নে আইএস-কে ‘সর্ববৃহৎ আঞ্চলিক সন্ত্রাসী হুমকি’ বলে অভিহিত করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, তালিবান কর্তৃপক্ষ ও আফগান ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ছাড়াও আইএস-কে সুদূর ইউরোপ পর্যন্ত হামলা চালায় এবং তারা “আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী মধ্য এশিয়ার দেশগুলো থেকে সক্রিয়ভাবে নিয়োগের চেষ্টা করছিল।”