শিরোনাম
সিরাজগঞ্জে ভারতীয় সূতা উদ্ধার করেছে পুলিশ   » «    “প্রশাসন ক্যাডারের বাইরে অন্যান্য ক্যাডারের ৫০% অন্তর্ভুক্তির পুনর্বিবেচনার জন্য অনুরোধ”   » «    ‘ক্রিসমাস ডে’ কে কেন বড়দিন বলা হয়?   » «    সাজাভোগ শেষে ভারত থেকে দেশে ফিরল ২৬ বাংলাদেশি পুরুষ ও নারী   » «    চাঁদপুরে জাহাজে খুনের ঘটনায় আটক ইরফান   » «   

রাজস্থলীতে ব্যাঙের ছাতার মত যত্রতত্র প্রশাসনকে তোয়াক্কা না করে  লাইসেন্সবিহীন জ্বালানী তৈল ব্যবসা 

স্টাফ রিপোর্টার, রাঙ্গামাটিঃ
খনিজ পদার্থ  জ্বালানি তৈল বিক্রয় করার জন্য ফায়ার সার্ভিসের অগ্নিনির্বাপক সক্ষমতা-সংক্রান্ত লাইসেন্সসহ অগ্নিনির্বাপক সিলিন্ডার এবং মজবুত ও ঝুঁকিমুক্ত সংরক্ষণাগার থাকার সরকারি নির্দেশনা থাকলেও   সেই নির্দেশনা উপেক্ষা করে রাজস্থলীতে যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে জ্বালানি তৈল। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় অনেক ব্যবসায়ী বাসা -বাড়ির সাথেই সংযুক্ত দোকানে খুবই ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় নির্দিধায় চলমান রেখেছেন এই তেল বিক্রয় ব্যবসা। যার ফলে যে কোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। স্থানীয় সচেতন কয়েকজন নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক গণমাধ্যম কে জানান, এখন বাজারে ব্যাঙের ছাতা মত অবধৈ তৈলের বিক্রি দোকান বৃদ্ধি পাচ্ছে, তবে ভবিষ্যৎতে বাজার এলাকাতে জুড়ে বড় দূর্ঘটনায় কবলিত হতে পারে। তাই প্রশাসন,জেলা প্রশাসক, ইউএনও, পরিবেশ অধিদপ্তর, খনিজ পদার্থ জ্বালানী অধিদপ্তর  নিকট সু দৃষ্টি কামনা করি, অতি দ্রুত এসব জ্বালানী তৈল অবৈধ বিক্রি লাইসেন্স বিহীন ব্যবসায়ীদের যথাযথ আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য দাবী।
একজন ব্যবসায়ী সরকার কর্তৃক ঘোষিত শর্ত পূরণ করলেই কেবল জ্বালানি তৈল বিক্রির নিবন্ধন পাওয়ার যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবেন। লাইসেন্স ছাড়া কোনো দোকানে জ্বালানি তেল বিক্রয় করা যাবে না। অথচ সরকারি এসব নীতিমালার তোয়াক্কা না করেই রাজস্থলী উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে পয়েন্ট অবাধে বিক্রয় হচ্ছে দাহ্য পদার্থ। আর এভাবে খোলা জ্বালানি তেল বিক্রিতে সাধারণ মানুষ থাকে প্রতিটি মুহূর্তে আতঙ্ক আর উৎকণ্ঠায়। ওষুধের দোকান, মুদি দোকান ও কাপড়ের দোকানের অতি নিকটেই চলছে গ্যাস বোতল , অকটেন, ডিজেল, পেট্রোল ও কেরোসিন বিক্রয়। রাজস্থলী উপজেলার ঘিলাছড়ি, গাইন্দ্যা এবং বাঙ্গালহালিয়া তিন ইউনিয়নের ব্যবসায়ীদের কাছে জ্বালানি তৈল বিক্রয় করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং লাইসেন্স দেখানোর জন্য বলা হলে ও কয়েকজন ছাড়া অধিকাংশ ব্যবসায়ী সকল কাগজপত্র এবং লাইসেন্স দেখাতে অক্ষম হয়।
এই বিষয়ে বাঙ্গালহালিয়া বাজারের ব্যবসায়ি  নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক  একজন তৈল  ব্যবসায়ী সাংবাদিককে জানান, আমরা দীর্ঘদিন ধরে জ্বালানী  তৈল বিক্রয় করে আসছি এবং আমার লাইসেন্স রয়েছে। কিন্তু রাজস্থলী উপজেলা সদর এবং বাঙ্গালহালিয়া বাজারে আরো অনেকেই প্রশাসনকে তোয়াক্কা না করে অবৈধ  জ্বালানী তৈল ব্যবসা করছেন। তিনি আরো বলেন, রাজস্থলী বাজার  এবং ইসলামপুর বাজার সহ  বাঙ্গালহালিয়াতে বাজার  ৩-৪ জনের তৈল  বিক্রয় করার লাইসেন্স থাকলেও  অধিকাংশেরই সরকারী নিয়মনীতি অনুমোদনবিহীন লাইসেন্স জ্বালানী তৈল বিক্রয় করার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নেই। এদিকে কয়েকটি জ্বালানী পদার্থ  তৈলের দোকানের মালিক সাংবাদিকদের কাগজপত্র দেখাতে অস্বীকৃতি জানায়।
এই বিষয়েরাজস্থলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সজীব কান্তি রুদ্র গণমাধ্যমকে জানান, আমাদের কাছে এই বিষয়ে কয়েকবার অভিযোগ এসেছে। আমরা খুব শীঘ্রই এসব দোকানে অভিযান পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যারা নিয়মনীতি না মেনে তেল বিক্রয় করছেন তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন
বিষয়: * তোয়াক্কা না করে * প্রশাসনকে * ব্যাঙের ছাতা * মত যত্রতত্র * রাজস্থলীতে * লাইসেন্সবিহীন জ্বালানী তৈল ব্যবসা
সাম্প্রতিক সংবাদ