ইউরোপীয় স্কোয়াস চাষে সফলতা পেয়ে খুশি কৃষকরা
শাহজাদপুর সিরাজগঞ্জ থেকে:
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে ইউরোপীয় স্কোয়াস চাষ করে সফলতা পেয়েছেন কৃষকেরা। ১ বিঘা জমি থেকে উৎপাদন খরচ বাদে নূন্যতম ১ লাখ টাকা লাভ হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষকেরা।
উপজেলার রুপবাটি ইউনিয়নের চরধুনাইল গ্রামের কৃষকেরা স্কোয়াস চাষ করে অর্থনৈতিকভাবে বেশ লাভবান হতে শুরু করেছেন। তবে বিগত বছরগুলোর তুলনায় এবছর বাজার মূল্য কম হওয়ায় হতাশ কৃষকেরা।
চর ধুনাইল গ্রামের স্কোয়াস চাষি ছোরমান মোল্লা তিনি জানান, আমি এ বছর নিজের ১বিঘা জমিতে স্কোয়াস চাষ করছি।কৃষি বিভাগের পরামর্শে কাজলী জাতের স্কোয়াস সবজির বীজ সংগ্রহ করে এ সবজি চাষ শুরু করেন। খরচ বাদে বেশ ভালোই লাভ হয়েছে।
চরধুনাইল গ্রামের স্কোয়াস চাষি মজনু মিয়া জানান, তিনি প্রায় ২ বিঘা জমিতে স্কোয়াস চাষ করছেন। বর্তমানে স্কোয়াসের প্রতিটি গাছ ফলে ফলে ভরে গেছে। প্রতিদিন যে ফল সংগ্রহ করা হয় তা স্থানীয় বাজারের চাহিদা পূরণ করে ঢাকাতে রপ্তানি করা হয়। ঢাকার পার্টি এসে প্রতিদিন আমাদের কাছ থেকে প্রতি পিস স্কোয়াস ১৫ টাকা করে কিনে নিয়ে যায়। আশা করছি খরচ বাদে এক বিঘা জমিতে আমার এক লাখ টাকা লাভ হবে। মজনুর মত আব্দুর রহমান, রেজাউল, আলিম, আব্দুল মজিদ তাদের আবাদী জমিতে বাণিজ্যিকভাবে স্কোয়াস চাষ শুরু করেছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ জেরিন আহমেদ বলেন, চলতি ২৪-২৫ অর্থবছরে শাহজাদপুর উপজেলায় ২৫ হেক্টর জমিতে স্কোয়াসের চাষ হয়েছে। প্রতি হেক্টর জমিতে ৩০ থেকে ৩৫ মেট্রিকটন স্কোয়াস উৎপাদন হয়। এখানে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রদর্শন স্থাপিত হয়েছে। একটি গাছ থেকে ৩ থেকে ৪ বার স্কোয়াস আহরণ করা যায়। এক বিঘা জমিতে প্রায় আড়াই হাজার চারা রোপণ করা যায়। এক বিঘা জমিতে কৃষক স্কোয়াস চাষ করে প্রায় এক লাখ টাকা মুনাফা যায়। এই আন্দারমানিক এর স্কোয়াস শুধু শাহজাদপুর উপজেলায় নয় রাজধানী ঢাকাতেও রপ্তানি করা হয়।