মামলা তুলে না নেওয়ায় আঃ লীগ নেতা তাইফুলের নেতৃত্বে বাদীর বাড়িতে হামলা-লুটপাটের অভিযোগ
জেলা প্রতিনিধি:
জয়পুহাটের ক্ষেতলাল উপজেলায় মামলা তুলে না নেওয়ায় প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে বাদীর বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার ( ৭ জানোয়ারী ) সন্ধা (৭ঘটিকায়) উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের বানাইচ গ্রামের রেজাউল সাগিদারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
বাড়ির নিজ তলা ও দুতলার চারটি বসতঘরের দড়জা ভাঙচুর করা হয়। হামলার সময় ঘরে থাকা ,নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ বিভিন্ন মালামাল লুটের অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। মামলার বাদী সৌরভ বলেন,আমি কয়েকদিন আগে বাড়ি থেকে শহরে যাওয়ার পথে গ্রামের মাঝ পথে কুতুব মেম্বারসহ আমার মোটরসাইকেল বেরিগেট দিয়ে মারিপট করে আমার হাত ভেঙে দেয়৷ আমি চিকিৎসা নিয়ে ক্ষেতলাল থানায় কুতুব রব্বানী মতিউর রহমান মতিসহ, তিনজনের নাম উল্লেখ করে এজাহার দাখিল করি ওই ঘটনায় এই মামলা তুলে নিতে আসামিরা ভিবিন্ন হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে।
তিনি আরও বলেন, ৭ জানুয়ারি বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে হাসপাতালে থাকা অবস্থায় আওয়ামী লীগ নেতা তাইফুল ও কুতুব মেম্বারের নেতৃত্বে ৬০-৭০ জন লোক এসে আমার বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এ সময় আমার স্ত্রী মায়ের উপর শাসিয়ে যান তারা।
প্রতিবেশী রোজিনা আক্তারসহ একাধিক ব্যক্তিরা বলেন, ‘৫০-৭০ জন লোক এসে রেজাউলের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় কুতুব সহ অনেকেই হামলা করে আরও বলতে থাকে,দুদিনের মধ্যে মামলা তুলে না নিলে তোদেরকে মেরে ফেলবো। এ সময় দরজার ফাঁক দিয়ে আমরা ওদের কর্মকাণ্ড দেখি৷
ভুক্তভোগী রেজাউল সাগিদার বলেন, ‘আমার বাড়ির ওপর হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে বর্তমান তাইফুল ও কুতুব মেম্বারসহ তার লোকজন। এছাড়া বসতঘরেও হামলা চালিয়ে মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়। বাড়িতে থাকা নারীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছে। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
এদিকে হামলার ঘটনা অস্বীকার করে বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান তাইফুল ইসলাম তালুকদারের পক্ষে কুতুব মেম্বার বলেন, ‘আমরা কোনও হামলা চালাইনি।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা উত্তর অঞ্চল জাতীয়তাবাদী ফোরামের সাংগঠানিক, আব্বাস আলী বলেন দীর্ঘ ১৭টি বছর আওয়ামী লীগের স্বৈরাচারের দোসরা অন্যায় ভাবে বিএনপির উপর অতর্কিত হামলা ও ভাঙচুর করেছে, আমরা বিচারহীনতায় ভুগেছি৷ ২৪ এর গণঅভ্যর্থনের পরও সারাদেশের ন্যায় ক্ষেতলালেও এমন হামলা চালিয়েছে সংশ্লিষ্ট থানার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি অবিলম্বে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করা হোক, সেই সাথে আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই৷
ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মশিউর রহমান বলেন, একজনের বাড়িতে হামলা চালায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ক্ষতিগ্রস্তরা এজাহার দায়ের করলে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’