বেরোবি প্রতিনিধি:
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী ফারজানা ইসলাম রাকা সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হওয়ার প্রতিবাদে নিরাপদ সড়কসহ ৭ দফা দাবিতে শিক্ষার্থীরা আজ সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াইটায় সড়ক অবরোধ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১নং ফটকের(আবু সাঈদ গেইট) সামনে দ্রুতগামী একটি পিকআপ ভ্যান ফারজানাকে ধাক্কা দিলে তিনি গুরুতর আহত হন। সহপাঠীরা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
ঘটনার পরপরই ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ১ নং ফটকের সামনে জড়ো হয়ে মহাসড়ক অবরোধ করেন। প্রায় ২ ঘণ্টাব্যাপী রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়ক অবরোধ থাকায় উভয় পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও রংপুর সিটি কর্পোরেশনের আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেন।
অবস্থান কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা নিরাপদ সড়ক ব্যবস্থার জন্য দোষী চালকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেপ্তার,
তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের ব্যবস্থা করা, দুর্ঘটনা প্রবণ এলাকায় গতিরোধক (স্পিড ব্রেকার) নির্মাণ, ফুট ওভারব্রিজ স্থাপন, ট্রাফিক পুলিশের ব্যবস্থা, দুর্ঘটনা প্রবল এলাকায় সর্বোচ্চ গতিসীমা ১০কিমি/ ঘণ্টা করাসহ ৭ দফা দাবি পেশ করেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, “আমরা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব। প্রয়োজনে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।”
এ সময় সাকিব নামের এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী বলেন,” সরদারপাড়া মোড়, আবু সাঈদ গেটের সামনে, মূল ফটকের সামনে এবং ৪ নাম্বার গেটের সামনে স্পিড ব্রেকার না থাকায় রাস্তা পারাপারের সময় শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পার হন।
এসব এলাকায় প্রজাপ্ত স্পিড ব্রেকার দেওয়া
এবং ট্রাফিক পুলিশের ব্যবস্থা করা উচিত। প্রধান ফটকের সামনে ফুট ওভারব্রিজের ব্যবস্থা করা অতিব জরুরী।”
এ সময় ঘটনাস্থলে বেরোবির প্রক্টরিয়াল বডি এবং সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তারা এসে জানান, “ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। দোষী চালককে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের সঙ্গে কাজ চলছে। আমরা সাত দিনের মধ্যে দুর্ঘটনা প্রবল এলাকায় স্পিড ব্রেকার দিব এবং ফুটওভার ব্রিজের
জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করব ।” তাদের এ আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা ব্লকের ও অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন।