প্রখ্যাত আর্জেন্টিনার ফুটবল তারকা ডিয়েগো ম্যারাডোনা’র মৃত্যু নিয়ে চলমান মামলায় গতকাল সান ইসিদরো আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন ফরেনসিক চিকিৎসক মরিসিও কাসিনেল্লি। তিনি বলেছেন, ম্যারাডোনার মৃতদেহের ময়নাতদন্তে এটি প্রতীয়মান হয়েছে যে, মৃত্যুর আগের সময়টায় তিনি ‘যন্ত্রণায় ভুগেছেন’।
ম্যারাডোনার মৃত্যুর পরবর্তী তদন্তে জানা যায়, হৃদরোগ ও লিভার সিরোসিস সহ বেশ কয়েকটি শারীরিক সমস্যা তার মধ্যে ছিল, এবং ‘অন্তত ১০ দিন’ ধরে তার ফুসফুসে পানি জমেছিল, যা নিশ্চিতভাবে তার মৃত্যুর কারণ হিসেবে কাজ করেছে। কাসিনেল্লি আরও জানিয়েছেন, ম্যারাডোনার হৃৎপিণ্ডের ওজন স্বাভাবিকের দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছিল, যার ফলে অন্তত ১২ ঘণ্টা তিনি তীব্র যন্ত্রণা ভোগ করেছেন।
ম্যারাডোনার মৃত্যু হয়েছে হৃদ্যন্ত্র বিকল হওয়ার কারণে, যা অস্ত্রোপচারের দুই সপ্তাহ পর ঘটে। চিকিৎসা চলাকালীন ওই বাড়িটি ‘ঘরোয়া হাসপাতালের জন্য অযোগ্য’ ছিল এবং সঠিক চিকিৎসা না পাওয়ার কারণে তার মৃত্যু ঘটে। চিকিৎসকদের অবহেলা এবং আইনের প্রতি অশ্রদ্ধা কারণে তাদের বিরুদ্ধে **‘ইচ্ছাপ্রসূত অবহেলাজনিত হত্যা’**র অভিযোগ আনা হয়েছে।
ম্যারাডোনার মৃত্যুর পর সাতজন চিকিৎসক ও নার্সের বিরুদ্ধে বিচার চলছে, যাদের দায়িত্ব ছিল তার চিকিৎসা পরিচালনা করা। কৌঁসুলিরা বলেছেন, ম্যারাডোনাকে মৃত্যুর আগে একটি ‘হরর থিয়েটার’ পরিবেশের মধ্যে রাখা হয়েছিল, যেখানে তিনি দীর্ঘ যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে মৃত্যু বরণ করেন।
এই মামলায় প্রায় ১২০ জনের সাক্ষ্য নেওয়ার কথা রয়েছে, এবং আগামী জুলাই পর্যন্ত এটি চলতে পারে। ম্যারাডোনার মৃত্যুর সাথে সংশ্লিষ্ট দোষীদের ৮ থেকে ২৫ বছরের জেল হতে পারে।