তুলা আমদানিতে সরকার ঘোষিত ২ শতাংশ অগ্রিম আয়কর (এআইটি) অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন দেশের বস্ত্রকল মালিকরা। তারা সতর্ক করে বলেছেন, এই কর অব্যাহত থাকলে দেশের টেক্সটাইল শিল্প মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়বে এবং অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
শনিবার রাজধানীর গুলশান ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ) এই দাবি জানায়।
বিটিএমএ’র ভাইস প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, “আগামী সোমবারের মধ্যে যদি এআইটি প্রত্যাহার না হয়, তাহলে সরকারের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ব্যাহত হবে। বন্দরে তুলা খালাস কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে।”
তিনি বলেন, সরকার এই করকে ‘সমন্বয়যোগ্য’ বললেও বাস্তবে কর ফেরত পাওয়ার প্রক্রিয়া অত্যন্ত জটিল ও অনিশ্চিত। “এই কর পরিশোধে মালিকদের নতুন করে ব্যাংক ঋণ নিতে হচ্ছে,” বলেন মামুন।
বিটিএমএ জানায়, বর্তমানে খাতে করপোরেট ট্যাক্স ২৭.৫ শতাংশ হলেও নতুন এআইটির ফলে কার্যকর করহার ৫৯ শতাংশে পৌঁছাবে। এ ছাড়া গ্যাস-বিদ্যুৎ সংকট, কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি, রপ্তানি প্রণোদনা কমানো এবং শ্রমিক খরচ বেড়ে যাওয়ায় টেক্সটাইল খাত ইতোমধ্যে চাপে রয়েছে।
সংগঠনের অন্য ভাইস প্রেসিডেন্ট সালেউদ্দিন জামান খান বলেন, “এটি পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশের শিল্পকে ধ্বংস করার একটি কৌশল হতে পারে।”
বিটিএমএ সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল বলেন, “আমার নিজস্ব সুতা উৎপাদনকারী মিল থাকলেও বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাকে বিদেশ থেকে সুতা কিনতে হচ্ছে।”
তিনি অভিযোগ করেন, “যদি দ্রুত ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে দেশের কোনো টেক্সটাইল মিল টিকে থাকতে পারবে না।”
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকমা), বাংলাদেশ টেরিটাওয়েল অ্যান্ড লিনেন ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনসহ খাতসংশ্লিষ্ট সংগঠনের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন এবং ট্যাক্স প্রত্যাহারের দাবি জানান।