মুজাহিদুল ইসলাম, জবি প্রতিনিধি:
বাংলাদেশের ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব চর্চায় নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলেছে ‘বাংলাদেশ ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব গবেষণা পরিষদ’ (BHARS)। ৫ মে ২০২৫, সোমবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই গবেষণা সংগঠনটি আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করে।
অনুষ্ঠানে BHARS-এর গবেষকদের লেখা বইয়ের প্রদর্শনী, সংগঠনের প্রথম জার্নালের মোড়ক উন্মোচন এবং গবেষকদের স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্যের মধ্য দিয়ে তাদের লক্ষ্য ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরে।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামরুল আহসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ ইতিহাস একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক ড. শরীফ উদ্দিন আহমেদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানবিকী অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মোজাম্মেলে হক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মো. মাহফুজুর রহমান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. এ কে এম শাহনেওয়াজ।
পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত ও গীতাপাঠের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সূচনা করে। এরপর অতিথিরা গবেষকদের রচিত পুস্তকসমূহ প্রদর্শন করেন এবং BHARS-এর প্রথম গবেষণা জার্নালের মোড়ক উন্মোচন করেন। এসময় বক্তারা সংগঠনের লক্ষ্য, গবেষণার গুরুত্ব এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে তাঁদের মতামত তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি অধ্যাপক ড. কামরুল আহসান বলেন,
“সবথেকে কম বাক্যে লেখা গ্রন্থটি সাধারণ মানুষের উপহার দিবে এবং আমরা যেন ছোট শিশুদেরকে একটা গ্রন্থ উপহার দিতে পারি, রিজিম পরিবর্তনের পরেও যেন গ্রন্থটি ডিলিট করে না ফেলি এমন গবেষক তৈরি হোক এই ভার্সার মাধ্যমে। ভলতেয়ার পরিষ্কারভাবে বলেছেন যে প্রজন্ম ইতিহাস জানে না, গুরুত্ব দেয় না তাদের অতীতও নাই ভবিষ্যৎও নাই। এ কে এম শাহনেওয়াজ স্যার শুধু গবেষক তৈরি করেন না, গবেষকদের প্রবন্ধ রচনা করেন এছাড়াও তিনি গবেষকদের সংসারও রচনা করেন। আমি স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞতাজ্ঞাপন করছি।”
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. এ কে এম শাহনেওয়াজ বলেন,
“আমরা এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তরুণ গবেষকদের একটা দরজা/জানালা খুলে দিতে চাই তারা যেন গবেষণার ধারাকে উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে। আমি মনে করি ইতিহাস ঐতিহ্য চর্চায় যে শূন্যতা সেটি সামান্যতম হলেও এই প্রতিষ্ঠানের গবেষকরা অনেক কিছু অবদান রাখতে পারবে।”
অধ্যাপক ড. শরীফ উদ্দিন আহমেদ বলেন,
“শুধু জার্নালের মধ্যে ইতিহাসকে জানলে হবে না পাশাপাশি আমাদের প্রত্নস্থলগুলো পরিদর্শন করতে হবে এবং জানতে হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে বাংলাদেশকে প্রো-অ্যাকটিভ হতে হবে।”