মাথা ও গলার জটিল ধরনের ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীদের জন্য আশার আলো হয়ে এসেছে এক নতুন ধরনের ইমিউনোথেরাপি। এই চিকিৎসাপদ্ধতিতে অস্ত্রোপচারের আগে ও পরে ‘পেম্ব্রোলিজুমাব’ নামের একটি ওষুধ প্রয়োগ করে শরীরকে ক্যানসার শনাক্ত করতে ও প্রতিরোধ গড়তে শেখানো হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, এতে ক্যানসার শরীরে পুনরায় ফিরে আসার সময় বিলম্বিত হয় এবং রোগীদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা দ্বিগুণের কাছাকাছি বেড়ে যায়। চিকিৎসা বিজ্ঞানে গত দুই দশকে মাথা ও গলার ক্যানসারের চিকিৎসায় এটিকে সবচেয়ে বড় অগ্রগতি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। যুক্তরাজ্যের লরা মার্সটনের মতো রোগীরা, যাদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা মাত্র ৩০ শতাংশ ছিল, এখন চিকিৎসার পর স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন। মার্সটন জানান, জিবের বড় অস্ত্রোপচারের পর মুখের অংশে বাঁ হাত থেকে পেশি প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল। এরপর নতুন ধরনের ইমিউনোথেরাপি তাঁকে দ্বিতীয় জীবন দিয়েছে। এ গবেষণায় যুক্তরাজ্যসহ ২৪টি দেশের ১৯২টি হাসপাতাল অংশ নেয় এবং পুরো কার্যক্রমের তত্ত্বাবধানে ছিল ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি মেডিকেল স্কুল। গবেষণার অর্থ জুগিয়েছে ওষুধ কোম্পানি এমএসডি। গবেষকেরা বলছেন, অস্ত্রোপচারের আগে এই ওষুধ প্রয়োগই সবচেয়ে বড় পরিবর্তন এনেছে, যা শরীরের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থাকে ক্যানসারের বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়তে সহায়তা করেছে। পাশাপাশি, ভবিষ্যতে ক্যানসার ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকিও উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। এই সাফল্যের কারণে চিকিৎসা বিজ্ঞানে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হলো, যেখানে ক্যানসারের মতো প্রাণঘাতী রোগ নিয়ন্ত্রণে আরও কার্যকর, টেকসই ও দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা সম্ভব হতে পারে।
প্রবণতা
- ইউনূস-তারেক বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতি:
- ইসরায়েলের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইরানের পাল্টা জবাব, নেতানিয়াহুর আহ্বান: ‘শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান’
- ইসরায়েলের দুটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত, নারী পাইলট আটক: দাবি ইরানের
- ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ইরানের, নেতানিয়াহুর আহ্বান: ‘শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান’
- মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের সঙ্কেত: ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের ভয়াবহ রূপ
- ইসরায়েলের ভয়াবহ হামলায় ইরানের শীর্ষ সামরিক ও পারমাণবিক নেতৃবৃন্দ নিহত
- পাইলট আটকের দাবি ইরানের, মিথ্যা বলছে তেহরান—জবাব ইসরায়েলের
- “মাদক ছেড়ে কলম ধরো, আলোকিত জীবন গড়ো”