“গত ৫ আগস্ট, ক্ষমতাচ্যুত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হেলিকপ্টার ভারতের মাটিতে নামার পর থেকেই তিনি যেন রহস্যের অন্ধকারে হারিয়ে গেছেন। সাড়ে সাত মাস পেরিয়ে গেলেও কেউ তাঁকে দেখতে পারেনি, শুনতে পারেনি। ভারত বলছে, তিনি আশ্রয়ে আছেন। কিন্তু বাস্তবতা কি তাই? নাকি তিনি কার্যত বন্দি?”
“এই দীর্ঘ নীরবতা অস্বাভাবিক। শেখ হাসিনা, যিনি নিয়মিত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতেন, সংবাদ সম্মেলন করতেন, তিনি এখন কোথায়? কেন তাঁর কোনো ভিডিও নেই?”
“দিল্লির একটি বিশেষ গেস্টহাউসে তাঁকে রাখা হয়েছে। কিন্তু এটি কি আসলেই একটি গেস্টহাউস, নাকি একটি বন্দিশালা? এই গেস্টহাউসে নেই ইন্টারনেট, নেই স্মার্টফোন, নেই টেলিভিশন! শেখ হাসিনা চাইলে কাউকে ফোনও করতে পারেন না, মাসে মাত্র কয়েকবার পুরোনো নকিয়া ১১০০ মডেলের ফোন ব্যবহারের সুযোগ পান, সেটাও ১৫ থেকে ২০ মিনিটের জন্য।”
“আর এই অল্প সময়ের ফোনালাপই এখন হাসিনার অস্তিত্বের একমাত্র প্রমাণ! কিন্তু যে অডিও কলগুলো আমরা শুনছি, তা কি সত্যি? নাকি এটি এআই প্রযুক্তির কারসাজি?”
“ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হাসিনার কথিত অডিও বার্তাগুলোর কণ্ঠস্বরের মধ্যে অস্বাভাবিকতা রয়েছে। এটি হয়তো এআই-এর সাহায্যে তৈরি, নতুবা নিখুঁত মিমিক্রির কাজ!”
“এদিকে, শেখ হাসিনা একাধিকবার দেশে ফেরার অনুরোধ করেছেন। জানুয়ারি মাসে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে অনশনও করেছিলেন বলে শোনা গিয়েছিল। কিন্তু মোদি ও অমিত শাহ তাঁকে স্পষ্ট জানিয়ে দিইয়েছিলেন—ফেরার প্রশ্নই আসে না!”
“তাহলে শেখ হাসিনার ভবিষ্যৎ কী? ভারত কি তাঁকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে, নাকি তাঁকে নিয়ন্ত্রিত অবস্থায় রেখেই বাংলাদেশে রাজনৈতিক প্রভাব বজায় রাখবে?”
“নীরবতা কখনো কখনো সবচেয়ে বড় বার্তা বহন করে! শেখ হাসিনার এই রহস্যময় নীরবতা কি স্বেচ্ছায়? নাকি তাঁকে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে? যতদিন পর্যন্ত না সত্য সামনে আসে, ততদিন হয়তো আমাদের শুধু ভয়েসের মধ্যেই খুঁজে ফিরতে হবে শেখ হাসিনার অস্তিত্ব!”