অন্তর্বর্তী সরকার ফেব্রুয়ারিতে সংসদ নির্বাচনের আগে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন করতে চায়। তবে রাজনৈতিক দলগুলোর পরস্পরবিরোধী অবস্থানের কারণে সনদের কার্যকর বাস্তবায়ন ও নির্বাচনের সময়সূচি অনিশ্চয়তায় রয়েছে। বিএনপি সংবিধান সংশোধনের জন্য সংসদবিহীন কোনো আদেশের বিরুদ্ধে অটল অবস্থান নিয়েছে, ফলে নির্বাচন আয়োজনের আগে সনদ বাস্তবায়ন জটিল হয়ে পড়েছে।
এদিকে জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও কিছু খালিফাত মজলিস রাজনৈতিক দল নির্বাচনের আগে সনদের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের পক্ষে। তারা সাংবিধানিক আদেশ বা গণভোটের মাধ্যমে সনদ কার্যকর করতে চায়। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসও সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক সমঝোতা প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছেন। তবে সমঝোতা সম্ভব না হলে সরকার সাংবিধানিক আদেশের মাধ্যমে সংস্কার কার্যকর করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পিআর পদ্ধতি, উচ্চকক্ষে পিআর, তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনসহ বেশ কিছু সংস্কারের বিষয়ে ভিন্নমত রয়েছে। বিএনপি এই বিষয়গুলোতে আপত্তি জানিয়ে রেখেছে, তবে জামায়াত ও অন্যান্য সমর্থক দলগুলোর অনড় অবস্থান থাকায় নির্বাচনের আগেই সনদ বাস্তবায়ন অনিবার্য বলে মনে করছে সরকার।
ঐকমত্য কমিশন গত বৃহস্পতিবার দলের প্রতিনিধিদের চূড়ান্ত সনদ প্রদান করেছে। দলগুলোকে শনিবারের মধ্যে সনদে স্বাক্ষর নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। তবে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির মধ্যে এখনও কিছু দলের স্বাক্ষরের সিদ্ধান্ত স্থির হয়নি।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সনদ বাস্তবায়নে বাধা এলে নির্বাচন বিলম্বিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে, যা দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়াতে পারে।

