চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট এলাকায় ভাড়া বাসার এক ছাত্রীকে দারোয়ান মারধরের অভিযোগ ঘিরে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ৩০ আগস্ট রাত থেকে টানা পরদিন দুপুর পর্যন্ত দফায় দফায় এই সংঘর্ষ চলতে থাকে।
ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন, প্রক্টর অধ্যাপক তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফসহ অন্তত ২০০ শিক্ষার্থী এবং ১০–১২ জন স্থানীয় আহত হয়েছেন। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত দারোয়ান পলাতক রয়েছেন।
অভিযুক্ত দারোয়ানের দাবি, তিনি ছাত্রীকে মারেননি; বরং দেরিতে ফিরতে দেখে প্রশ্ন করায় ওই ছাত্রীই তাকে থাপ্পড় দেন। তবে প্রথম বর্ষের ছাত্রীটির অভিযোগ, দারোয়ান তাকে গেটে আটকে রেখে মারধর করেছেন, এমনকি পেটে লাথিও মেরেছেন।
ছাত্রী জানান, গ্যাস না থাকায় রাত ১০টা ৪০ মিনিটে হোটেলে খেতে বের হন এবং ১১টা ১৫ মিনিটে ফিরে আসেন। তখন গেট বন্ধ দেখে বারবার অনুরোধ করলেও দারোয়ান তা খোলেননি। পরে সহপাঠীকে ডেকে জোর করে ঢোকার চেষ্টা করলে দারোয়ান গেট চেপে ধরেন এবং একপর্যায়ে তাকে থাপ্পড়, ঘুষি ও লাথি মারেন। এতে তিনি মাটিতে পড়ে যান।
এ ঘটনায় শিক্ষার্থীরা দারোয়ানকে খুঁজতে গেলে তিনি পালিয়ে যান। শিক্ষার্থীরা ধাওয়া দিলে স্থানীয়দের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ শুরু হয়। আহত ছাত্রী অভিযোগ করেন, সেই সুযোগে মাইকিং করে শিক্ষার্থীদের ওপর সংগঠিত হামলা চালানো হয়।
তিনি বলেন, “আমরা অনেক ছাত্রী ওই ভবনে থাকি। হামলার সময় সবাই ছাদ থেকে সব দেখেছি এবং সাহায্য চাইছিলাম। আতঙ্কে ভোরে কাপড় নিয়ে বাসা ছাড়তে বাধ্য হই।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়ের করা মামলায় দারোয়ানের নাম না থাকায় হতাশা প্রকাশ করে ওই ছাত্রী বলেন, “আমি দারোয়ানের বিচার চাই, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার বিচার চাই। আমাকে নিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে, প্রশাসন যেন সত্যটা খুঁজে বের করে।”