সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার যাদুকাটা নদী তীরবর্তী ঢালাপাড় গ্রামের পাশে জামাল মিয়ার ব্যাক্তি মালিকানা জায়গা থেকে জোরপূর্বক সিলেকশন বালু নিতে বাধাঁ দেয়ায় বিগত আওয়ামীলীগের সরকােেরর কিছু দোসর কর্তৃক মিথ্যা মামলা,মোবাইল ফোনে হুমকি ও পুলিশের নামে চাঁদা নেয়ার পরও আতংঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন একটি পরিবার।
সীমান্তবর্তী তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের ঢালারপাড় গ্রামের মৃত সুলতান মিয়ার এক সহজ সরল ছেলে মোঃ জামাল উদ্দিনের যাদুকাটা নদীর তীরবর্তী পুরান লাউর মৌজায় তার পৈতিক ৪০ কেদার পতিত জমিতে প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া বালু মহাল রয়েছে। এই বালু মহাল থেকে বিগত আওয়ামীলীগের দোসর একই ইউনিয়নের জাঙ্গালহাটি গ্রামের ছিদ্দু মিয়ার ছেলে বোরহান,তরং গ্রামের মৃত আব্দুল ছত্তারের ছেলে বেলায়েত ও উজ্জল মিয়া এই তিনজন মিলে জামাল মিয়ার পতিত জমিতে জোরপূর্বক বালু উত্তোলন করতে আসলে তারা বাধাঁ প্রদান করেন। এতে বিলায়েত বাদি হয়ে জামাল মিয়া,তার ছেলে আলমগীর হোসেন গংদের আসামী করে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। এদিকে উজ্জল মিয়া প্রায়ই তাহিরপুর থানার ওসি চালক দাবি করে মোবাইল ফোনে জামাল মিয়ার ছেলে আলমগীর হোসেন ভয়ভীতিসহ টাকা দিতে হুমকি প্রদান করে।
এভাবে পুলিশের নাম ধরে কয়েক দফায় প্রায় সাড়ে তিনলাখ টাকা হাতিয়ে নেয় এমন অভিযোগ আলমগীর হোসেনের। তার মাধ্যমে তাহিরপুর থানা পুলিশকে টাকা দিলে এই জায়গা পুলিশ এসে বিরক্ত করবে না। তাই ভয়ে আলমগীর হোসেন কয়েক দফায় উজ্জল মিয়াকে প্রায় সাড়ে তিনলাখ টাকা দেওয়া হয়। অপরদিকে দীর্ঘ ৫০ বছর আগে ঢালারপাড়ের মৃত সুলতান মিয়ার ছেলে জামাল মিয়া ঢালারপাড়ের বীর মুক্তিযোদ্ধা ফয়জুর রহমানের নিকট হতে স্টাম্পের মাধ্য এই ৪০ কেদার জায়গা খরিদ করে ভোগদখল করে আসছিলেন। কিন্তু গত ১৫দিন ধরে বুরহান,বেলায়েত গংরা এই জায়গা তাদের পৈতিক সম্পত্তি বলে দাবী করে আসছেন।
তখন জামাল মিয়া বলেছেন যদি আপনাদের জায়গা হয়ে থাকে তাহলে কাগজপত্র নিয়ে আসেন। কিন্ত তাতে ওরা কর্ণপাত না করে জোরপূর্বক বালু উত্তোলন করে নিতে আসলে জামাল মিয়াগংরা বাধাঁ দিলেই চলে একের পর এক
হুমকি ও মিথ্যা মামলার ভয় দেখানো হয়।
সরেজমিনে শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে এবং স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বললে তারা জানান,এই জায়গাটুকু জামাল মিয়ার পিতা সুলতান মিয়া প্রায় ৫০ বছর পূর্বে একজন মুক্তিযোদ্ধার নিকট থেকে খরিদ করে ভোগদখল করে আসছেন। কিন্তু বুরহান,বিলায়েত মিয়া ও উজ্জল মিয়া গংরা আওয়ামীলীগের দোসর হওয়ার পরও তারা পেশীশক্তির জোরে এই জায়গা থেকে জোরপূর্বক বালু উত্তোলন করে নিয়ে বিক্রি করতে চাইলে তারা বাধাঁ দেন এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তারা
বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত উজ্জল মিয়ার সাথে মোবাইল ফোনে তাহিরপুর থানা পুলিশের নামে কয়েক দফায় সাড়ে তিনলাখ টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে ফোনের লাইন কেটে দেন।
এ ব্যাপারে বেলায়েত মিয়ার সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে ফোন রিসিভ না করায়
তাদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে জায়গার মালিক দাবিদার জামাল মিয়া সাথে সরাসরি কথা বললে তিনি জানান,এই জায়গাটুকু প্রায় ৫০ বছর ধরে আমার পরিবার স্টাম্পের মাধ্যমে খরিদ করে ভোগ দখল করে আসছি।
কিন্তু তাহিরপুরের বুরহান মিয়া, বেলায়েত মিয়া ও উজ্জল গত ১৫দিন ধরে আমাদের জায়গা তাদের দাবি করে ঐ জায়গা থেকে সিলেকশন বালু জোরপূর্বক নিয়ে ব্যবসা করে মুনাফা করতে চেয়েছিল। কিন্ত আমরা বাধাঁ দেওয়াতে আমাদের নামে মিথ্যা মামলাসহ প্রতিনিয়ত ভয়ভীতি দেখিয়ে যাচ্ছে। ওদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আইন শৃংখলা বাহিনীর নিকট দাবি জানান।
এ ব্যাপারে তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোঃ দিলোয়ার হোসেন উজ্জল মিয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলে উজ্জল আমাদেও কেউ না সে যদি পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়েকোন অপরাধ কওে থাকে তাহলে ভূক্তভোগীরা অবিযোগ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 
			 
			






