অর্থনৈতিকসহ চলমান বহুমুখী সংকটের স্থায়ী সমাধান এবং উচ্চতর সমৃদ্ধিশীল গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গঠণ বিষয়ক সংবাদ সম্মেলন করা হয়। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি সাগর রুনি মিলনায়তনে ইনস্টিটিউট অব ডেমোক্রেটিক পলিটিক্যাল ইকোনোমি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মোহাম্মদ আহসানুল করিম।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, স্বৈরহাসিনা-সরকারের পতনের পরে রাষ্ট্রব্যবস্থার গণতান্ত্রিক সংস্কারের প্রত্যাশা নিয়ে জাতি নোবেলজয়ী ডঃ ইউনুসকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানত্বের দায়িত্ব দেয়। এলক্ষ্যে সংস্কার কমিশণগুলো গঠন করা তাঁর প্রজ্ঞাসম্মত পদক্ষেপ। তবে অর্থনীতিতে বিজ্ঞজন ও সজ্জন উপদেষ্টাদের নিয়ে ৬ মাসেও অবনতিশীল অর্থনীতি তিনি রোধ করতে পারেননি। তাই তাঁর গণতান্ত্রিক সংস্কারে সাফল্য নিয়ে সুধীজনেরা উদ্বিগ্ন।
অর্থনৈতিকসহ বহুমুখী সংকট বেড়েই চলেছে। ২০১৮/১৯-এ জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার ৭.৯% এবং রাজস্ব আয়ের হার জিডিপির ১১.০%-এর উপরে ছিল। এখন সে হারদ্বয় যথাক্রমে ৪.০% ও ৯.০%-এর নীচে। মূল্যস্ফীতির হারও ৬.০%-এর নীচে ছিল যা এখন ১০.০%-এর উপরে। রাজস্ব সংকটে সরকার ব্যাংকঋণ নিচ্ছে, কর বাড়াচ্ছে। বাড়তি কর-মূল্যে জনজীবন বিপর্ষন্ত।
আয়ের প্রবৃদ্ধি, রাজস্ব আয়, মূল্যস্ফীতি, বাজারের দ্রব্যমূল্য অস্থিরতা, ইত্যাদি অর্থনৈতিক বিষয়। তবে চলমান অবনতিশীল পরিস্থিতির মূলকারণ অর্থনৈতিক নীতিমালা নয়, রাষ্ট্রব্যবস্থার কাঠামো-প্রতিষ্ঠানের সীমাবদ্ধতা। কানের ডাক্তার ও ঔষুধে চোখের রোগ সারানো যায় না। তেমনি বিজ্ঞ অর্থনীতিবিদ ও অর্থনৈতিক নীতিমালা দিয়ে রাষ্ট্রব্যবস্থার কাঠামো-প্রতিষ্ঠানের সীমাবদ্ধতার নেতিবাচক প্রভাব দূর হয় না।
বিজ্ঞ অর্থনীতিবিদ উপদেষ্টাদের নিয়ে ডঃ ইউনুস সরকার যে বাড়ন্ত অর্থনৈতিক সংকোটগুলো সমাধান করতে পারবে না, তা আমি ১০০% নিশ্চিত ছিলাম। তাঁকে সহযোগিতার জন্যে অসুস্থ হয়েও আমেরিকা থেকে ৩ মাস পরে ছুটে এসেছি।
ডঃ ইউনূস ২৭/১১/২০২৪ তারিখে বিকাল ৬-টায় আমাকে সময়ও দিয়েছিলেন। তবে উপদেষ্টা ডঃ ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদের খেয়ালী ও দায়িত্বহীনতায় সেটা ভেস্তে যায়। ডঃ ইউনুস-সরকার অর্থনীতির এ অবনতির ধারা থেকে জাতিকে মুক্তি দিতে পারেননি। অতঃপর ১৯৮২ থেকে বাস্তবায়িত ও বাস্তবায়ণতব্য আমার প্রধান উদ্যোগগুলো উল্লেখ করে (ঈঠ-তে থাকা) ০৫/১২/২০২৪ তারিখে ডঃ ইউনূসকেসহ সংশ্লিষ্ট কমিশণদের পত্র দেই।
১৯৮২ থেকে বাস্তবায়িত আমার প্রধান উদ্যোগ গুলো- থানাগুলোকে মহকুমা/উপজেলায় উন্নীত করা (১৯৮২-৮৩)। মহকুমাগুলোকে জেলায় উন্নীত করা (১৯৮৪) তিনকোটি বসতিযোগ্য ঢাকা মহানগরের রূপকল্প (ডিএমএপি) (১৯৮৭-)। পাবর্ত্য ৩টি জেলাসহ স্থানীয় জেলা সরকার গঠন করা (১৯৮৯)। ৯টি আঞ্চলিক ক্যান্টনমেন্ট গঠন করা (১৯৮৯-২০১৫)। আয়কর কাঠামো ০%-৫০% থেকে ০%-২৫%-এ হ্রাস করা (১৯৯২)। বাংলাদেশকে ১০টি বিভাগে (ভবিষ্যতের প্রদেশ) বিভক্ত করা (১৯৯৩)। মন্ত্রীকে মন্ত্রণালয়ের প্রধান নির্বাহী করা (১৯৯৬)। গ্রাম ইউনিয়ন এলাকাকে ৯টি ওয়ার্ডে বিভক্ত করা (১৯৯৭)। সার্বজনিন বয়স্কভাতা প্রবর্তন করা (১৯৯৭)। দুপদক্ষেপে আপীল বিভাগের বিচারপতির সংখ্যা ১১-এ উন্নীত করা (২০০২-০৯)। সংসদে নির্বাচিত দলীয় প্রতিনিধির আনুপাতিক মহিলা আসন পদ্ধতি (২০০৪)। সকল ধর্মের সমাধিকার/সমমর্যাদাসহ রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম রাখা (২০১১)। ৭ই মার্চের ভাষণ ও স্বাধীনতা ঘোষণাপত্র সংবিধানে সংযোজন করা (২০১১)। দরিদ্রতা দূরীকরণে সার্বজনীন শিশু (স্বাস্থ্য-শিক্ষা) ভাতা চালু করা (২০১৭) বিভিন্ন-পর্যায়ে মূল্যসংযোজন কর (ভ্যাট) চালু করা, (২০২২) ইত্যাদি।
অপেক্ষমান বাস্তবায়ণতব্য প্রধান উদ্যোগগুলো (প্রশাসনিক ও সংবিধান সংস্কার কমিটিও সুপারিশ করেছে)- কুমিল্লা ও ফরিদপুর বিভাগ গঠণসহ রাষ্ট্র-অবকাঠামোর সুষম-গণতন্ত্রমুখী পুনর্গঠণ করা। জাতীয় আয় বণ্টনের ও জাতীয় আয়ের সামঞ্জসে সুষম জাতীয় বেতন স্কেল চালু করা; জাতীয় ও স্থানীয় সরকারের সকল নির্বাচনীয় পদ চারবছর মেয়াদী করা; দুইকক্ষ সংসদ চালু করা; নির্দলীয় প্রধান ও এক-তৃতীয়াংশ সদস্যসহ দ্বিতীয়কক্ষ ভিত্তিক নির্বাচনকালীণ সরকার চালু করা; রাষ্ট্রপতি, স্পীকার, প্রধানমন্ত্রী ও স্থানীয় সরকারগুলোর প্রধানপদে সর্বোচ্চ দুইবারের ব্যবস্থা চালু করা; সুপ্রীমকোর্ট ও হাইকোর্ট পৃথকীকরণ এবং বিভাগভিত্তিক হাইকোর্ট চালু করা; জনসংখ্যা ১৫ কোটির ব্যা বেশী হলে বিভাগগুলো প্রদেশে রূপান্তর করা, এবং ৬ দফার আলোকে যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারব্যবস্থা চালু করা ইত্যাদি। প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা, ১৯৮৫, দুটো উপস্থাপনাঃ সংসদ (২০১০) ও সুপ্রীমকোর্ট (২০১১), ২০২৫ থেকে।
সংস্কার কমিশণগুলোর শত শত সুপারিশের মধ্যে জরুরী বাস্তবায়ণতব্যের সংখ্যাও শতাধিক। সেগুলো বাস্তবায়ণ করতে গেলে প্রতিপক্ষ ও ক্ষতিগ্রস্থরা বিফল কবার চেষ্টা করবে। রাষ্ট্র-পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হতে পারে (উপসচিব-থেকে সচিব পদে নিয়োগ)। তাই স্বাধীনতার অঙ্গীকার (স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র) এবং আগষ্ঠ, ২০২৪-এ গণ-অভ্যুত্থানের অঙ্গীকারের ভিত্তিতে রাষ্ট্রব্যবস্থাকে গণতান্ত্রিকে আবদ্ধ করতে কেবল মৌল পুনর্গঠণ/সংস্কারগুলো করতে হবে।
আমার বিবেচনায় এজন্যে ৩টি প্রদক্ষেপ জরুরী ও মুখ্যঃ এক, কুমিল্লা ও ফরিদপুর গঠণসহ বাংলাদেশকে ১০টি বিভাগ/প্রদেশে বিভক্ত করা; দুই, জিডিপি প্রবৃদ্ধির ও রাজস্ব আয়ের হার বাড়াতে সুষম-গণতন্ত্রমুখী জাতীয় বেতন কাঠামো চালু এবং সর্বনিম্ন মূলবেতনের ন্যূনত ১২.৫% হারে বয়স্কভাতাসহ ভিত্তিতে অন্যান্য ভাতাসমূহ সংশোধন করা এবং তিন, এককরাষ্ট্র বা যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রনয়ণ করে গণভোটে একটি বেছে নেওয়া। অন্যান্য সংস্কারগুলো এর ভিত্তিতে হবে জন্যে পরে করা সমীচীন হবে।
অর্থনৈতিকসহ বহুমুখী সংকটের স্থায়ী সমাধানে বিভাগদ্বয় গঠণসহ রাষ্ট্র-অবকাঠামোর সুষম-গণতন্ত্রমুখী পুনর্গঠণের বিকল্প নেই। ইউনুস-সরকার চাইলে ফেব্রুয়ারী, ২০২৫-এর মধ্যেই কুমিল্লা ও ফরিদপুর বিভাগ গঠন সমাপ্ত করতে পারে। এজন্যে ময়মনসিংহ বিভাগের আলোকে এ বিভাগদ্বয়ের আইন (এসআরও) এবং কমিশনার ও ডিআইজি দপ্তরদ্বয় স্থাপন করতে হবে। বাকী রাষ্ট্র-অবকাঠামোর সুষম-গণতন্ত্রমুখী পুনর্গঠণ মার্চ-মে মাসে করা যাবে।
বিভাগ প্রশাসনিক ছাড়াও বহুমাত্রিক সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংকৃতিক, রাজনৈতিক, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, যোগাযোগ ও অন্যান্য বিষয় যার প্রভাব প্রশাসনিকের বিশগুণ। বিভাগদ্বয় হলে বেসরকারীখাত সর্বোচ্চ উৎপাদনশীল হবে। জিডিপির প্রবৃদ্ধি সক্ষমতা প্রায় ১.৩% বাড়বে। এজন্যে বরিশাল-সিলেট বা রংপুর-
ময়মনসিংহ বিভাগ হলে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার/ক্ষমতা ২.০% করে বেড়েছে রাজস্ব আয় বেড়েছে বাড়ন্ত সন্ত্রাস কমেছে। বাকী রাষ্ট্র-অবকাঠামোর জেলা-উপজেলা পুনর্গঠিত হলে জিডিপির প্রবৃদ্ধি সক্ষমতা আরও ০.৭% বাড়বে।
২০২৪/২৫ অর্থবছরের বাজেটের ভিত্তিতে বিদ্যমান জনবলে বাকী ৫ মাসের জন্যে বিভাগ দুটোর জন্যে ব্যয় বাড়বে মাত্র ৬/৭ কোটি টাকা। আর এজন্যে বাকী ৫ মাসে জিডিপির প্রবৃদ্ধি সক্ষমতা বাড়বে প্রায় ১.৩% এবং রাজস্ব আয় বাড়বে জিডিপির প্রায় ০.২% তথা ১২ হাজার কোটি টাকা। মূল্যস্ফীতি কমবে প্রায় ০.৭% এবং দ্রব্যমূল্য ক্রমে সিন্ডিকেডমুক্ত হবে।
কুমিল্লা ও ফরিদপুর বিভাগ গঠনে রাষ্ট্র-অবকাঠামোর স্বরূপের ১২.৫% পরিবর্তন ও সুষম-গণতন্ত্রমুখী হবে। ১৮ কোটি জনতার ৯টি আঙ্গীকের অন্তর্ভুক্তিমূলক (সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংকৃতিক, রাজনৈতিক, প্রশাসনিক, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, যোগাযোগ ও অন্যান্য বিষয়) সরকারী-বেসরকারী ও ব্যক্তিক-সমষ্টিক বিষয়গুলোর স্বরূপ সকলদিক ইতিবাচক রূপ নেবে। এতে ছোট-বড় প্রায় ২০ কোটি গণতন্ত্রমুখী সংস্কার হবে।
এ কারণে বরিশাল-সিলেট বিভাগ বা রংপুর-ময়মনসিংহ বিভাগ হলে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার/ক্ষমতা ২.০% হারে বেড়েছে রাজস্ব আয় বেড়েছে বাড়ন্ত সন্ত্রাস কমেছে। কুমিল্লা ও ফরিদপুর বিভাগ গঠিত হলে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ১.৩% বাড়বে, হ্রাসমান রাজস্ব আয় উল্টো বর্ধমান হবে, বাড়ন্ত সন্ত্রাস আর থাকবে না। বাজারের প্রতিযোগিতা বাড়বে ও সুষম হবে এবং সিন্ডিকেটের প্রভাব হ্রাস পাবে।
জাতীয় বেতনস্কেলের অধীনে
সরকারী-বেসরকারীখাতে ২৭ লক্ষ কর্মজীবি রয়েছে। জাতীয় আয় বণ্টন ও জনপ্রতি আয়ের সামঞ্জসে সংস্কার হলেই জাতীয় বেতন কাঠামো/স্কেল সুষম-গণতন্ত্রমুখী হবে। এর আওতায় কর্মকারীগণ তাৎক্ষণিক দায়িত্বশীল ও কর্মশীল হবে। তাই সরকারকে “নিবিড়” ৯ম জাতীয় বেতন কমিশণ গঠণ করতে। আপাততঃ মার্চ, ২০২৫ থেকে অন্তর্র্বতীকালীণ জাতীয় বেতন স্কেল চালু করতে হবে।
২০২৪/২৫ অর্থবছরে মূলবেতন এবং জুলাই ২০২৫ থেকে অন্যান্য ভাতা দেওয়া সমীচীন হবে। তাহলে ৪ মাসে সরকারী-অনুদান-অবসরভাতাখাতে প্রায় ২৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হবে। আর জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫.০% ও রাজস্ব আয় জিডিপির ১.৫% তথা প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা বাড়বে। মূল্যস্ফীতিও ২.৫% এর উপরে হ্রাস পাবে। জিডিপি প্রবৃদ্ধি ও রাজস্ব আয় জিডিপির ১.৫% বাড়া এবং মূল্যস্ফীতি ও দুর্ণীতি কমা বিগত ৮টি জাতীয় বেতন স্কেল চালুতে পরীক্ষিত।
রাজনৈতিক দূর্ণীতির স্বার্থে প্রশাসনিক দূর্ণীতি বাড়ানো রেগুলেশনও হ্রাস পেয়েছে। সুষম-গণতন্ত্রমুখী জাতীয় বেতন স্কেল হলে অর্ধেকে নামাসহ দূর্ণীতি হ্রাসমান হবে। এখন প্রাপ্যতা থেকে (২০,০০০/-টাকা) সর্বনিম্ন বেতনও ক্রমে প্রায় ৫৭% হ্রাস পেয়েছে। শক্তিশালী হলেও সংশোধিত সুষম জাতীয় বেতন কাঠামো/স্কেল ছাড়া দূদক কিভাবে ২৭ লক্ষ কর্মকারীকে দায়িত্বশীল ও কর্মশীল করবে? ৫ গুণ বড় ও শক্তিশালী করা হলে, দূদকই সবচেয়ে দূর্ণীতির সংস্থা হবে।
দুইকক্ষ সংস। দব্যবস্থার বিধান না থাকা ১৯৭২ সালের সংবিধানের অন্যতম প্রধান সীমাবদ্ধতা। সরকারব্যবস্থার গণতান্ত্রিক করার জন্যে আমি ১৯৮৫ থেকে বাংলাদেশ দুইকক্ষ সংসদব্যবস্থা চালুর কথা বলছি। এতে অনেকে বিদ্রূপ করেছে। ডঃ রীয়াজও এনিয়ে ২০১৬ বিদ্রূপ করেছে। উনি ২০১০ থেকে ফেসবুকে আমার যুক্ত।
তবে তাঁর নেতৃত্বে কমিটি দুইকক্ষ সংসদব্যবস্থা সুপারিশের জন্যে ধন্যবাদ। তবে তাঁর সুপারিশে স্বনিয়ন্ত্রণ ও ভারসাম্য কম। অবরোহীমুখী রাজ/স্বৈরতন্ত্রের স্থলে আধুনিক গণতন্ত্র হলো সাম্য-স্বাধীনতা-ন্যায় বিধানসহ আরোহমুখী জনতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা। বিশ্বসমীক্ষায় জ্ঞাত হয়ে আমি ১৯৮৫ থেকে সমৃদ্ধিশীল সুষম-গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ায় দুইকক্ষ সংসদব্যবস্থার চালুর কথা বলছি।
বিগত ০৪/১২/২০২৪ তারিখে সাক্ষাৎকারের জন্যে পত্র দিই। উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম দুরার স্মরণ করে দিয়েছেন। দীর্ঘ দুমাসে ডঃ ইউনূসের অফিস থেকে কোন সারা না পেয়ে এই সাংবাদিক সম্মিলন এবং আর “সংসদ (২০১০) ও সুপ্রীমকোর্টে (২০১১) পেশকৃত প্রতিবেদনদ্বয় একত্রে করে জরুরী ভিত্তিতে “দুটি উপস্থাপনা” বইটি প্রকাশ করছি। বইমেলায় শিলা প্রকাশনী স্টলে (নং ৯১৩-১৪) পাওয়া যাবে।
নৈপথ্যে কাজ করায় আমি জাতির কাছে অপরিচিত। আমার কথাগুলো আপনাদের গণমাধ্যমের মাধ্যমে আশাকরি ডঃ ইউনূসসহ জাতির কাছে পৌছাবে। জাতির চলমান ক্লান্ত্রিকালে গণতান্ত্রিক পুনর্গঠণ/সংস্কারে জাতীয়স্বার্থে আপনাদের সহযোগীতা চাই। সহজপথে ও স্বল্পসময়ে এ দুটো মৌল রাষ্ট্র-অবকাঠামো-প্রতিষ্ঠানসহ পুনর্গঠণসহ সাংবিধানের পুনর্গঠণ/সংস্কারে ডঃ ইউনুসকে আমি সহায়তাও দিতে পারবো।
বার্তা প্রেরক
মোহাম্মদ আহসানুল করিম