২০০৭ সাল। তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নিয়ে আওয়ামী লীগ – বিএনপির অনৈক্য। পরিণতি ২ বছরের জন্য অগণতান্ত্রিক শক্তির উত্থান। রাজনীতিবিদদের উপর জেল – জুলুমের খড়গ।দীর্ঘ দুই বছরের রাজনৈতিক দলগুলোর আন্দোলন সংগ্রামে বাংলাদেশ নির্বাচনী গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে আসলেও আবারো আওয়ামী লীগ সরকারের কাঁধে স্বৈরশাসকের ভূত চড়ে বসে। ক্ষমতার লালসায় অগণতান্ত্রিক পথে হাঁটতে থাকে।
দাবি উঠে তত্বাবধায়ক সরকারের পুনঃ বহালের। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক শক্তিগুলো অগণতান্ত্রিক শক্তির বিরুদ্ধে দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রাম করে ছাত্র – জনতা জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে অগণতান্ত্রিক শক্তিকে বিদায় করে। জুলাই আন্দোলনের ছাত্র – জনতা আর শত শত বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের রক্তের বিনিময়ে ড. ইউনুসের নেতৃত্বে বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবসথায় ফিরিয়ে আনতে আগষ্ট ‘ ২৪ এ ক্ষমতায় আনা হয় অন্তবর্তীকালীন সরকারকে। অন্তবর্তীকালীন সরকার সংস্কারের উদ্দেশ্যে জাতীয় ঐক্যমত কমিশন গঠন করে ‘ জুলাই সনদ’ এ বাস্তবায়নের জন্য ফ্যাসিবাদ বিরোধী সকল রাজনৈতিক শক্তিকে আমন্ত্রণ জানালে কিছু রাজনৈতিক দল ‘ জুলাই সনদ’ এ স্বাক্ষর করলেও কিছু কিছু দল স্বাক্ষর করতে অপারগতা জানাই।
ফলে আবারও বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় ফিরিয়ে আনতে ঐক্যমত কমিশনের সুপারিশগুলো বাস্তবায়নের পথে বাঁধার সৃষ্টির পাশাপাশি ফ্যাসিবাদ বিরোধী দলগুলোর মধ্যে মতানৈক্য ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে বিভেদ – দূরত্বের সৃষ্টি হচ্ছে। ফ্যাসিবাদ বিরোধী শক্তির এই অনৈক্যের মোক্ষম সুযোগটি কাজে লাগাতে সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে ব্যবহার করে পতিত অগণতান্ত্রিক শক্তি দেশে বিশৃঙ্খলার পাঁয়তারা করছে।
তাই আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ফ্যাসিবাদ বিরোধী বাংলাদেশের সকল গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক শক্তিগুলো ঐক্যমত না হলে দেশে যে কোনো সময় আবারও অগণতান্ত্রিক ফ্যাসিবাদী শক্তির উত্থান হবে। আর সেইজন্য  শত সহস্র শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত জুলাই বিপ্লবের স্বপ্ন ভঙ্গের জন্য বাংলাদেশের ছাত্র – জনতার কাঠগড়ায় রাজনৈতিক দলগুলোকে দাঁড়াতে হবে।
								
								
															 
			 
			






