মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার নয়ানগর গ্রামের ঋষি পাড়ায় মুসলমানের জমি দখল করে মন্দির স্থাপন করার ঘটনা ঘটেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় উপজেলার মধুপুর গ্রামের মোঃ শহিদুল ইসলাম চঞ্চল গং দের এস.এ ও আর.এস রেকর্ডীয় মালিকানাধীন ২৪ শতক জমির উপর সম্পূর্ণ অবৈধভাবে উভয় গ্রামের যতীন্দ্র দাসের নেতৃত্বে গড়ে উঠেছে কয়েকটি মন্দির ও পূজা মন্ডপ এবং অন্যান্য স্থাপনা। অথচ মন্দিরের নামে রেকর্ডকৃত জমির পরিমাণ দুই শতাংশ।এ বিষয়ে যতীন্দ্র দাসের কাছে জানতে চাইলে তিনি কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেন নাই।
উক্ত জমি উদ্ধারের জন্য মোঃ শহিদুল ইসলাম চঞ্চল গং বহুদিন যাবত মামলা চালিয়ে আসছেন। জমির ওপর নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও কোন রকমের আইনের তোয়াক্কা না করে যতীন্দ্র দাসের নেতৃত্বে জোরপূর্বক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মন্দির প্রসারের কাজ চলছে।
জমির মালিক মোঃ শহিদুল ইসলামের ছেলে রাকিব আহমদ বিষয়টি সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব শাহানা আক্তার কে অবহিত করেন। বিষয়টি আমলে নিয়ে জনাব শাহানা আক্তার সহকারী কমিশনার (ভূমি) জনাব মোঃ তৌহিদুল ইসলাম বারিকে সরজমিনে তদন্তের দায়িত্ব দেন।অদ্য ১১ ফেব্রুয়ারি দুপুরে ১ টায় কানুনগো ও সার্ভেয়ারসহ জনাব মোঃ তৌহিদুল ইসলাম বারি পরিদর্শন করেন।
এলাকাবাসীর জবানবন্দিতে ঘটনার সত্যতা পেয়ে মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে উভয় পক্ষকে জমির কাগজপত্র সহ উপস্থিত থাকতে বলেন। এ সময় এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে হিন্দু সম্প্রদায়কে পূজা অনুষ্ঠান চালিয়ে যেতে বলেন ও উভয়পক্ষকে বিবাদে না জড়ানোর পরামর্শ দেন। তবে অন্যান্য নির্মাণাধীন স্থাপনার কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাজানগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জনাব মোঃ মজিবর রহমান, রাজানগর ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি জনাব ইন্জিনিয়ার এম. এস. রানা এবং আবু আম্মার আব্দুল্লাহ্সহ অত্র এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
মোঃ সোহেল রানা
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
বাংলা এফএম