ঝালকাঠিতে বাস দূর্ঘটনায় ভাই বোন ও ভাগীনাকে হারালো রুবেল
বরিশাল প্রতিনিধি:
ঝালকাঠির ছত্রকান্দায় বরিশাল-খুলনা মহাসড়কে বাস দুর্ঘটনায় ভাই-বোন-ভাগনি হারিয়ে হাসপাতালে দিশেহারা রুবেল নামে এক যুবক। এ ঘটনায় ১৭ জন নিহত হয়েছেন।
২২/৭/২০২৩ ইং শনিবার দুপুরে হাসপাতালে নিকট স্বজনদের হাড়িয়ে আকাশ বাতাস কাপানো আর্তনাদ করতে দেখা গেছে রুবেল নামের যুবকটিকে।
দূর্ঘটনার শিকার নিহতরা হলেন, আইরিন আক্তার, শাহীন মোল্লা, সুমাইয়া, আব্দুল্লাহ, নয়ন, রাবেয়া বেগম, সালমা আক্তার মিতা, সাদিয়া আক্তার, তারেক রহমান, ছালাম মোল্লা, খাদিজা বেগম, খুশবু আক্তার, রহিমা বেগম, আবুল কালাম হাওলাদার ও রিপা মনি। বাকি দুই জনের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
স্থানীয়রা জানান, বাবার বাড়ি ঝালকাঠিতে আইরিন আক্তার বেড়াতে এসেছিলেন। পরে শনিবার সকালে আইরিন মেয়ে রিপাকে (২) নিয়ে ফিরে যাচ্ছিল বলিশালের শ্বশুর বাড়ি। এ সময় বোন ও ভাগনিকে বরিশালের লঞ্চে তুলে দিতে যান নয়ন।
পরে একই দিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রাজাপুর থেকে বরিশালগামী বাশার স্মৃতি বাসটিতে ওঠেন তারা তিনজন। ওই বাস দুর্ঘটনার খবর পেয়ে প্রথমে বড় ভাই রুবেল ছুটে যান।
কিন্তু ছত্রকান্দা এলাকা না পেয়ে আইরিনের সঙ্গে থাকা মোবাইলে কল দেন। তখন তিনি ফোনটি বন্ধ পান। এরপর ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে গিয়ে ভাই-বোন-ভাগনির মরদেহ খুঁজে পান রুবেল।
রুবেল কান্নারত অবস্থায় জানান, বোন আইরিনকে লঞ্চে তুলে দিয়ে ফিরে আসার কথা ছিল ছোট ভাই নয়নের। দুই বছরের রিপামনি খুব দুষ্ট। আমার বোন একা সামলাতে পারছিল না বলে নয়নও পৌঁছে দেওয়ার জন্য যায়। পরে শুনি ওদের বাসটা দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে।
ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক ফিরোজ কুতুবী জানান, বিষয়টি জানার পর ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সদস্যরা গিয়ে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় উদ্ধার অভিযান শুরু করে। এখন পর্যন্ত ১৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ৩০ জনকে। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা শঙ্কাজনক।