কক্সবাজার সৈকতের লাবণী পয়েন্টে গোসলে নেমে স্রোতে ভেসে যাওয়ার প্রায় ১৫ ঘণ্টা পর উদ্ধার হলো পর্যটক জুহায়ের আয়মানের মরদেহ। নিহত আয়মান জাতীয় দলের ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিমের ভাতিজা।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) ভোর সাড়ে ৬টার দিকে কক্সবাজার পৌরসভার সমিতিপাড়া সৈকতে মরদেহটি ভেসে আসে। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় সী সেইফ লাইফগার্ড সদস্যরা তা উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠান।
নিহত জুহায়ের আয়মানের বয়স ১৭ বছর। তিনি বগুড়া সদরের কাটনাপাড়ার বাসিন্দা শরিফুল ইসলাম ও মনিরা সুলতানা দম্পতির ছেলে। সম্প্রতি এসএসসি পরীক্ষা শেষ করে পরিবারের সঙ্গে কক্সবাজার ঘুরতে গিয়েছিলেন তিনি।
এর আগে রোববার বিকেল ৩টার দিকে লাবণী পয়েন্টে তিনজন পর্যটক সমুদ্রে গোসলে নামলে হঠাৎ স্রোতে ভেসে যান। লাইফগার্ড সদস্যরা দ্রুত অভিযান চালিয়ে দু’জনকে উদ্ধার করেন। তবে নিখোঁজ হন জুহায়ের। রাতভর দমকলবাহিনী, লাইফগার্ড ও বিচকর্মীদের তল্লাশির পরও তার খোঁজ মেলেনি। অবশেষে সকালে সমিতিপাড়া সৈকতে ভেসে ওঠে তার মরদেহ।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আজিম খান বলেন, “এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। পরিবারের কাছ থেকে জেনেছি, পরীক্ষার পর আনন্দঘন ভ্রমণেই এসেছিলেন তারা।”
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহিদুল আলম পর্যটকদের উদ্দেশে বলেন, “সৈকতে লাল পতাকা উত্তোলিত এলাকায় কখনোই নামা উচিত নয়। শুধু লাইফগার্ড ও বিচকর্মীরা যেসব স্থান নিরাপদ হিসেবে চিহ্নিত করেন, সেখানেই গোসল করতে হবে।”