রাজধানীর ধানমন্ডিতে বাসায় কাজের কথা বলে ভুয়া পরিচয়পত্র দিয়ে কাজ নিয়ে বাসায় ঢুকে খাবারে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে আলমারি থেকে স্বর্ণালংকার ও টাকা নিয়ে পালিয়ে যায় কাজের বুয়া। কাজে যোগ দেয়ার সময় মালিকের নিকট কাজের বুয়া তার নিজের নাম রোকসানা বলে জানায়।
পরবর্তীতে উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে বাদী থানায় এসে মামলা দায়ের করলে ধানমন্ডি মডেল থানার মামলা নং ১৯, তারিখ-১৯/০১/২০২৫ ইং, ধারা-৩৮১ পেনাল কোড রজু করা হয়। রমনা জোনের ডিসি মাসুদ আলম (বিপিএম) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, মামলা করার সাথে সাথে পুলিশ এই ঘটনা নিয়ে কাজ করে। ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ এবং তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় আসামী কথিত নাম রোকসানাকে সনাক্ত করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ফিরোজ হোসেন ও সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সসহ ঢাকা ও গাজীপুর মেট্রোপলিটন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় আরো চাঞ্চল্যকর তথ্য রোকসানা নামে তৈরি জাতীয় পরিচয়পত্রটি অন্য এক ব্যক্তির। যা সে একটি কম্পিউটারের দোকান থেকে প্রিন্ট করে তার ফটোকপি নিজের কাছে রাখতো। বিভিন্ন বাসায় কাজের সময় সেই পরিচয়পত্রটি দিতো। অনুসন্ধানে ও জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায় তার প্রকৃত নাম শেফালী। বুয়ার কাজের কথা বলে মানুষের বাসায় কাজ নিলেও টঙ্গীতে সে বিলাসী জীবন যাপন করে। টঙ্গীতে তার রয়েছে কোটিপতি সমবায় সমিতি যার নাম “স্বপ্নবিলাস “।
গ্রেফতারের সময় তার নিকট থেকে (১) নগদ টাকা ৩,৪৩,০০০/- (২) গলার মুক্তার হার ০১(এক) টি, (৩) মোট ০৯ (নয়) টি মোবাইল ফোন (৪)একটি ভ্যানিটি ব্যাগ ও ব্যাগের রক্ষিত চেতনা নাশক ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। আরো জানা যায় যে, শেফালী ঢাকা মহানগরের অভিজাত এলাকায় বুয়ার কাজের কথা বলে বাসা বাড়িতে চুরি করে আসছে।
গ্রেফতারকৃত শেফালী বেগম এর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।