
মোঃ জাহিদল ইসলাম, (বরিশাল প্রতিনিধি)
বিয়ের পরে লেখা পড়া খুব কম সংখ্যক মেয়েরাই করে।তাহলে বাল্য বিবাহ মুক্ত স্কুল ঘোষণা করে লাভ কি।
ইদানীং বাকেরগঞ্জে সেইন্ট বাংলাদেশ এনজিওর মাধ্যমে উপজেলার প্রতিটি স্কুলেই বাল্য বিয়ে মুক্ত ঘোষণার ক্যাম্পিং করা হচ্ছে। তাহলে প্রশ্ন উঠে অল্প বয়সে বিয়ে হওয়া মেয়ে গুলো আসলে কারা। তারা কি কোন স্কুলের শিক্ষার্থী না। যদিও এখানে বিয়ে পড়ানো মৌলভী এবং কাজীও সমান অপরাধী।
কেননা কাজী সাহেরা যেখানেই বিয়ে পড়ানোর দাওয়াত পায়,সেখানেই অনায়াসে সবার আগেই হাজির হন তিনি। মনে হয় বিয়ে পড়ানো,কাবিন রেজিষ্ট্রেশন সব কিছুই তার কাছে দায়বদ্ধ। সমাজকে বাল্য বিবাহ মুক্ত করতে কাজী সাহেবরাও মুখ্য ভুমিকা রাখতে পারে।
অপরদিকে বিয়ের জন্য বয়সের তারিখ পরিবর্তন করে ভুয়া তারিখ দিয়ে জন্ম সনদও কম দায়ী নয়।
শুধু মাত্র চাকুরির বাঁচানোর স্বার্থে সংস্থা টিকিয়ে রাখার তাগিদে স্কুলে স্কুলে ক্যাম্পিং করলেই সমাজ থেকে বাল্য বিবাহ মুক্ত হবেনা। দেখা যায় অনেক পরিবার তাদের মান সন্মান রক্ষার্থে অল্প বয়সেই মেয়েদের বিবাহ দিয়ে দেন।
অল্প বয়সে মেয়ে বিয়ে দেওয়া প্রসঙ্গে জানতে বেশ কয়েকজন অভিভাবকদের সাথে আলাপ করলে তারা জানায়,সমাজে ইভটিজিং, কিশোর অপরাধের প্রবনতা বৃদ্ধি, রাস্তা ঘাটে সামাজিক নিরাপত্তার অভাবে তারা তাদের মেয়েদের বিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন।
তাই স্কুলকে বাল্য বিবাহ মুক্ত ঘোষণার পাশাপাশি সমাজের সকল শ্রেনীর, সকল পেশার জনসাধারণের মাঝে, মেয়েদের চলাচলের নিরাপত্তা বিধান সহ, ইভটিজিং, কিশোর অপরাধ নিরসনে এগিয়ে আসতে হবে।
কেননা যখনই অভিভাবকরা তাদের মেয়েদের স্কুল,কলেজ সহ রাস্তা ঘাটে চলাচলে নিরাপত্তা বোধ করবে, তখনই সমাজ থেকে বাল্য বিবাহ মুক্ত হবে।