মোঃ নুর আলম, গোপালপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার হাদিরা ইউনিয়নের ৫ গ্রামের ২৩ জনকে পাগলা কুকুরে কামড়িয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। সাবকে ইউপি মেম্বার সোলায়মান হোসেন জানান, প্রথমে গনিপুর গ্রামে ৫জনকে কামড়ায় পাগলা কুকুর। পরে মাহমুদপুর, ভারারীয়া ও হাউলভাঙ্গা গ্রামের দুই শিশুসহ ৬ জনকে কামড়ায়।
এলাকাবাসিরা ধাওয়া দিলে কুকুরটি চাতুটিয়া ও হরিদেববাড়ী গ্রামে প্রবেশ করে আরো ১২ জনকে কামড়ায়। চাতুুটিয়া গ্রামের চাল বিক্রেতা মজিবর রহমান জানান, বাড়িতে ঢুকে তার স্ত্রী নাজমা বেগমকে কামড়িয়ে আহত করে। গোপালপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার জানান, হাসপাতালে জলাতঙ্কের কোন ভ্যাকসিন নেই। বাইরের দোকান থেকে ভ্যাকসিন কেনার পরামর্শ দেন। প্রতিটি ভ্যাকসিনের দাম ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা। পাঁচ ডোজ দিতে খরচ পড়ে ১৮০০ থেকে ২৫০০ টাকা। যাদের কুকুরের কামড়িয়েছে তাদের অধিকাংশই গরীব। এতো টাকা খরচ করে ভ্যাকসিন প্রয়োগ দেয়ার সামর্থ তাদের নেই। গনিপুর গ্রামের মাদ্রাসা শিক্ষক রমযান আলী জানান, ভ্যাকসিন কেনার সামর্থ যাদের নেই তারা করিরাজের ঝাঁড়ফুক ও ওষুধের উপর নির্ভর করছে। গোপালপুর উপজেলা কেমিষ্ট এন্ড ড্রাগিষ্ট সমিতির সভাপতি লুৎফুল কবীর জানান, দুই ধরনের জলাতঙ্ক ওষুধ ফার্মেসীতে রয়েছে। কিন্তু গরীব রোগীরা দামি ভ্যাকসিন দেয়ার সামর্থ্য রাখেনা।
গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ খায়রুল ইসলাম জানান, সারা দেশে জলাতঙ্ক রোগের ভ্যাকসিনের সংকট চলছে। উপজেলা হাসপাতালে ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হয়না। রোগী এলে টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডাক্তার আলমগীর হোসেন জানান, চাহিদার তুলনায় কম ভ্যাকসিন পান তারা। সংকট লেগেই থাকে। গোপালপুর হাসপাতাল থেকে রোগী শিপ্ট করলে ভ্যাকসিন দেয়া হবে।