যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত উইলিয়াম বি মাইলাম ও ঢাকায় দেশটির সাবেক উপরাষ্ট্রদূত জন ড্যানিলোভিচ বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে দলটির শীর্ষনেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। এ সময় বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধের প্রসঙ্গ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
মতবিনিময়ের প্রেক্ষাপট
রোববার (৯ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন ‘রাইট টু ফ্রিডম’-এর প্রতিনিধি হিসেবে উইলিয়াম বি মাইলাম ও জন ড্যানিলোভিচ রাজধানীর বিজয়নগরে এবি পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যান। উইলিয়াম বি মাইলাম সংগঠনটির প্রেসিডেন্ট এবং জন ড্যানিলোভিচ নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদসহ সিনিয়র নেতারা তাদের স্বাগত জানান।
আলোচনার মূল বিষয়
মতবিনিময়কালে সাবেক দুই মার্কিন কূটনীতিক বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আগামী নির্বাচন, ভারতের ক্রমাগত বাংলাদেশবিরোধী প্রোপাগান্ডা, আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধের ব্যাপারে এবি পার্টির অবস্থান, বর্তমান সরকারের সংস্কার প্রস্তাব এবং ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্র প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে নবগঠিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে এবি পার্টির সম্পর্ক নিয়ে জানতে চান।
এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ভারত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নিয়মিত মিথ্যা প্রোপাগান্ডা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এতে বিভ্রান্ত না হয়ে বাংলাদেশের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিবাচক ভূমিকা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানানো হয়। তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধের ব্যাপারে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের উদ্যোগে সবার ঐকমত্যের প্রতি এবি পার্টি গুরুত্ব দিচ্ছে। সংস্কারসহ বিভিন্ন বিষয়ে জাতি ঐক্যবদ্ধভাবে সিদ্ধান্ত নেবে বলে এবি পার্টি মনে করে।
সংবাদ সম্মেলনে এবি পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাসরিন সুলতানা অবিলম্বে নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধে অন্তর্বর্তী সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান। তিনি বলেন, নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
সংবাদ সম্মেলনে এবি পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক যোবায়ের আহমদ ভূঁইয়া, আবদুল হক সানী, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক ফারাহ নাজ সাত্তার এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সদস্য হাজরা মাহজাবিন উপস্থিত ছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক কূটনীতিকদের সঙ্গে এবি পার্টির এই মতবিনিময় বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও ভবিষ্যৎ নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আগ্রহকে প্রতিফলিত করে। এবি পার্টির নেতারা দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, সংস্কার এবং ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। আশা করা যায়, এই আলোচনা বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে ভূমিকা রাখবে।