একটি বোয়িং ৭৬৭ কার্গো প্লেন, যা ফেডএক্স দ্বারা পরিচালিত হচ্ছিল, নিউ জার্সি থেকে ইন্ডিয়ানাপলিস যাচ্ছিল। চলন্ত অবস্থায় এটি পাখির আঘাতে আক্রান্ত হয়, যার ফলে একটি ইঞ্জিনে আগুন ধরে যায়। তবে প্লেনটি নিরাপদে নিউয়ার্ক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করতে সক্ষম হয়। এই দুর্ঘটনায় কোনও যাত্রী বা ক্রু সদস্য আহত হয়নি।
ফ্লাইটটি সাধারণত চলছিল, কিন্তু হঠাৎ পাখির আঘাতে একটি ইঞ্জিনে আগুন ধরে যায়। পাখির আঘাত সাধারণত বড় বিপদ সৃষ্টি না করলেও, এটি যখন প্লেনের গুরুত্বপূর্ণ অংশে আঘাত হানে, তখন এর ফল হতে পারে বিপজ্জনক। এই অবস্থায়, প্লেনের ক্রু দ্রুত ব্যবস্থা নেয় এবং নিরাপদে বিমানবন্দরে ফিরে আসার জন্য জরুরি অবতরণের পরিকল্পনা করে।
ইঞ্জিনে আগুন থাকলেও, প্লেনের পাইলটরা অত্যন্ত দক্ষতার সাথে পরিস্থিতি সামলেছেন। প্লেনটি নিউয়ার্ক বিমানবন্দরের দিকে ফিরতে শুরু করে এবং সেখানেই নিরাপদে অবতরণ করে। জরুরি পরিষেবাগুলি অবতরণের সময় প্লেনের পাশে প্রস্তুত ছিল, তবে প্লেনটি কোনও বড় ক্ষতির সম্মুখীন হয়নি। ক্রু সদস্যদের এবং প্লেনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা এতটাই উন্নত ছিল যে, কেউ আহত হয়নি।
পাখির আঘাত বিমান পরিবহন খাতে একটি পরিচিত বিপদ, যদিও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এটি গুরুতর সমস্যার সৃষ্টি করে না। তবে, যখন এটি ইঞ্জিন বা প্লেনের গুরুত্বপূর্ণ অংশে আঘাত হানে, তখন এটি বড় বিপদের কারণ হতে পারে। এটি এমন একটি ঘটনা, যা বিশ্বব্যাপী বিমানবন্দরগুলোতে নিয়মিত ঘটে, এবং বিভিন্ন নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে যাতে এই ধরনের ঘটনা কমিয়ে আনা যায়।
বোয়িং ৭৬৭ একটি দীর্ঘ দূরত্বে উড়ান করতে সক্ষম এবং এটি সাধারণত বহনযোগ্য মালামাল বা যাত্রী পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত হয়। এই বিমানের ইঞ্জিন এবং সুরক্ষা ব্যবস্থা অত্যন্ত উন্নত, তবে পাখির আঘাতের মতো অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি কখনও কখনও বিপদের সৃষ্টি করতে পারে।
এই ঘটনা থেকে এটি স্পষ্ট যে, বিমান পরিবহণে নিরাপত্তা ব্যবস্থা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাইলটদের দক্ষতা এবং বিমানটির উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থা এমনকি এই ধরনের বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে নিরাপদভাবে বিমানটি অবতরণ করানোর ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে।
পাখির আঘাতের ঘটনা অবশ্যই আরও ভালোভাবে মোকাবেলা করার জন্য বিমানবন্দর এবং বিমান কোম্পানিগুলি তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থাগুলি আরও উন্নত করবে।