ইবির হলে ফজরের নামাজের সময় শিক্ষার্থীদের দরজায় কড়া: প্রশংসার ঝড়
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাদ্দাম হোসেন হলে ফজরের সময় শিক্ষার্থীদের নামাজ পড়ার জন্য রুমে রুমে ডেকে দেন ইসলামী ছাত্র শিবিরের কর্মীরা। এই উদ্যোগকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ একে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখছেন, কেউবা এতে কিছুটা বিরক্তি প্রকাশ করছেন।
হলের একাধিক শিক্ষার্থী জানান, নামাজের গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে শিবির কর্মীরা নিজ উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের ফজরের নামাজের জন্য রুমে নক করেন। তাদের মতে, এটা শিক্ষার্থীদের ধর্মীয় অনুশীলনে মনোযোগী হতে সাহায্য করছে। অনেক শিক্ষার্থী এ ধরনের উদ্যোগকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন এবং শিবির কর্মীদের সাধুবাদ জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে আবাসিক শিক্ষার্থী আল-আমিন বলেন, “এভাবে প্রতিদিন সকালে নামাজের জন্য ডাকা আমাদের অনুপ্রাণিত করে। ব্যস্ততার মধ্যে অনেক সময় নামাজ পড়া বাদ পড়ে যায়। কিন্তু শিবিরের ভাইয়েরা এভাবে ডেকে দিলে আমরা নামাজের জন্য উৎসাহিত হই।”
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী এই উদ্যোগে কিছুটা বিরক্তি প্রকাশ করে বলেন,” প্রতিদিন সকালে রুমের দরজায় নক করা অস্বস্তিকর হতে পারে। নামাজ একটি ব্যক্তিগত ধর্মীয় দায়িত্ব, যা প্রত্যেকের নিজস্ব ইচ্ছার ওপর নির্ভরশীল। এরকম ডাকাডাকি আমাদের ওপর চাপ তৈরি করতে পারে। তাছাড়াও মাঝে মাঝে রাত জেগে পড়তে হয় তাই ফজরের নামাজের সময় উঠা কঠিন হয়ে পড়ে।
তবে এ বিষয়ে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদ ও হলের দায়িত্বে থাকা শিবির নেতাকর্মী আসিবুর থেকে বক্তব্য সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি । একাধিক শিবির ওই নেতাকর্মীর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে ব্যর্থ হই।
আবাসিক হলে ফজর নামাজের সময় ডেকে দেওয়ার বিষয়ে প্রশংসা এবং সমালোচনা উভয়ের সম্মুখীন, তা আরও স্পষ্ট হয়েছে। অনেকে এ ধরনের উদ্যোগকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন, যা শিক্ষার্থীদের ধর্মীয় দায়িত্ব পালনে সহায়ক হতে পারে। তবে এর ফলে কারো ব্যক্তিগত স্বাধীনতা ব্যাহত হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখারও আহ্বান জানিয়েছেন একাধিক শিক্ষার্থী ।