বরিশাল ব্যুরো প্রধানঃ

ভোলার লালমোহন পৌর শহরের প্রধান বাজারের মধ্যে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে নবনির্মিত ডাকবাংলো ব্রিজ অত্যন্ত ব্যস্ততম। ব্রিজটি দিয়ে পৌরসভার ৭ ও ৮ নং ওয়ার্ডসহ উপজেলার বদরপুর ও কালমা ইউনিয়নের মানুষ, নাজিরপুর লঞ্চঘাটের যাত্রীসহ ব্রিজ সংলগ্ন লালমোহন ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের যাতায়াত। অথচ এ ব্রিজটির রেলিংয়ের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ওইসব অঞ্চলের বিদ্যুৎ লাইনের তার। ফলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও পথচারীরা। তবে তারগুলো ঝুঁকিপূর্ণভাবে থাকলেও দেখেও না দেখার ভান করে আছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

অটো চালক কামাল, ইদ্রিস ও কামালবলেন, আমরা নিয়মিত যাত্রী এনে ব্রিজের ওপরে নামিয়ে দেই এবং এখান থেকে যাত্রী নিয়ে যাই। ব্রিজের আইল্যান্ডে দাঁড়িয়ে যাত্রীরা অপেক্ষা করে। তবে আইল্যান্ডের রেলিংয়ের সাথে থাকা বিদ্যুতের লাইন থেকে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই তার গুলো অতিদ্রুত সরাতে বিদ্যুত কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন তারা।

লালমোহন পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড ওয়েস্টার্ন পাড়ার বাসিন্দা রাজিব আহমেদ বলেন, আমরা এ ব্রিজ দিয়ে যাতায়াত করি। এছাড়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরাও নিয়মিত যাতায়াত করে। ব্রিজের রেলিংয়ের সাথে বিদ্যুতের তার থাকায় যেকোনো সময় বিদ্যুতায়িত হওয়ার শঙ্কা আছে।

এদিকে ব্রিজের রেলিং লাগোয়া বৈদ্যুতিক তার থাকার কারণে ব্রিজের ওপরে সোলার লাইট স্থাপন করা যাচ্ছে না বলে জানান লালমোহন ডাকবাংলো ব্রিজ নির্মাণ কাজের তদারকি কর্মকর্তা ও ভোলা সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবুল খায়ের সুমন। তিনি বলেন, ব্রিজের রেলিং লাগোয়া থেকে নিরাপদ দূরত্বে তারগুলো সরানোর জন্য অনেক আগেই ভোলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কে অফিশিয়ালি অবহিত করা হয়েছিল। তবে এখনো তারগুলো না সরানোর ফলে ব্রিজে সোলার লাইট স্থাপন করা হয়নি।

ভোলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির লালমোহন জোনাল অফিসের ডিজিএম একেএম ফজলুল হক বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। জনস্বার্থে বিদ্যুতের তারগুলো নিরাপদ দূরত্বে সরানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।