ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। কবি সুফিয়া কামাল হলের শিক্ষার্থীদের ভোটকেন্দ্র ভূতত্ত্ব বিভাগে সকাল ৮টা ২০ থেকে ১১টা ২০ পর্যন্ত তিন ঘণ্টায় প্রায় ৪৫ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচনী কর্মকর্তারা।
ভোটকেন্দ্রে বারবার মাইকিং করে জানানো হয়, ১০০ মিটারের মধ্যে কোনো প্রার্থী বা সমর্থক প্রচারণা চালাতে পারবেন না। তবে সকাল থেকেই নিয়ম ভাঙার অভিযোগ উঠেছে। ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান দু’বার ওই কেন্দ্রে এসে প্রচারণা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেছেন। এ ছাড়া স্বতন্ত্র জোটের ভিপি প্রার্থী উমামা ফাতেমাও দুইবার কেন্দ্রটিতে আসেন।
ইসলামী ছাত্র শিবির সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী সাদিক কায়েম বলেন, “ঐক্যবদ্ধ প্যানেলের ভূমিধস বিজয় হবে।” পাশাপাশি কিছু কেন্দ্রে আচরণবিধি ভাঙার অভিযোগও তোলেন তিনি।
সকাল বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেলা ১১টার দিকে ভোটারদের লাইন ছোট হতে শুরু করে।
এবারের নির্বাচনে ২৮টি পদে ৪৭১ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন—যা ডাকসুর ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এর মধ্যে নারী প্রার্থী ৬২ জন। অন্যদিকে ১৮টি হলে ১৩টি পদে ১ হাজার ৩৫ প্রার্থী লড়ছেন।
প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস) ও ছাত্র অধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন সংগঠন। বামপন্থিরা দুটি প্যানেলে এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা প্রায় ১০টি প্যানেলে অংশ নিচ্ছেন।
মোট ভোটার ৩৯ হাজার ৭৭৫ জন। এর মধ্যে ছাত্র ২০ হাজার ৮৭৩ এবং ছাত্রী ভোটার ১৮ হাজার ৯০২ জন। আটটি কেন্দ্রে ৮১০টি বুথে শিক্ষার্থীরা ডাকসু ও হল সংসদের ৪১টি পদে ভোট দেবেন।
ভোট গণনা করা হবে ওএমআর মেশিনে এবং প্রতিটি কেন্দ্রের বাইরে এলইডি স্ক্রিনে ফলাফল দেখানো হবে। সবশেষে সিনেট ভবন মিলনায়তনে চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করা হবে।
এরই মধ্যে পুরো ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। প্রবেশপথে নিরাপত্তা চৌকি, ডগ স্কোয়াড, বোম এক্সপোজাল ইউনিট, সোয়াত টিম, সিসিটিভি মনিটরিং ও স্ট্রাইকিং রিজার্ভ ফোর্সসহ বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।