শিরোনাম
ঘাটাইলে সড়ক দুর্ঘটনায় চার বছরের শিশু নিহত   » «    শেরপুরে নালিতাবাড়ীতে দ্বন্ধ থামাতে গিয়ে নিহত হলেন মাছ ব্যবসায়ী দেলোয়ার, আহত-৪, আটক-২    » «    তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে আসামী হলেন সাংবাদিক খালেদ   » «    বিদেশি পিস্তল,ম্যাগাজিন ও চার রাউন্ড গুলিসহ ভাগ্নে রনি ও মাহিন খান গ্রেফতার   » «    ইউএনওর স্বাক্ষর জাল করে প্রধান শিক্ষকের ৩৪ লক্ষ টাকার বিল ভাউচার দাখিল   » «   

কচুয়ায় ফসলি জমির মাটি বিক্রির সিন্ডিকেট বেপরোয়া হয়ে উঠেছে

চাঁদপুর প্রতিনিধি:
চাঁদপুরের কচুয়ায় ফসলি জমির মাটি বিক্রির সিন্ডিকেট বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। ভূমি আইন অমান্য করে বিভিন্ন ইউনিয়নে ফসলি জমি থেকে মাটি কাটার মহোৎসব চলছে। সংবাদকর্মী ও ভুক্তভোগীরা বিভিন্ন সময় এবিষয়ে প্রশাসনকে অবগত করলে ও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
তাই কোনভাবেই প্রতিরোধ করা সম্ভব হচ্ছে না যন্ত্র দানব ট্রাক্টর ও ভেক্যু। ট্রাক্টর দিয়ে মাটি বহন করার ফলে একদিকে নষ্ট হচ্ছে রাস্তা ঘাট অপরদিকে জমির উর্বরতা শক্তি কমে যাচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, কচুয়ার প্রতিটি ইউনিয়নে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল দীর্ঘদিন মাটি ক্রয় বিক্রয়ের সাথে জড়িত।কৃষি জমির মাটি কাটার ফলে ফসল উৎপাদন হুমকির মুখে। অবৈধ ভাবে ফসলি জমির মাটি বিক্রি করায় একটি জমির মাটি তুলে আনতে পাশের অন্য জমি গুলো নষ্ট হচ্ছে।
উপজেলার কাদলা,দেবীপুর,তুলপাই,মেঘদাই, চক্রা, ভূঁইয়ারা,তেতৈয়া,বায়েকসহ বিভিন্ন স্থানে মাটি কাটার হিড়িক পড়েছে।কাদলার স্থানীয় বাসিন্দা জমির ও কামাল জানান ,একটি চক্র ইটেরপুল সংলগ্ন মাঠে,কাদলা ও দেবীপুরের মাঠে দীর্ঘদিন ধরে ট্রাক্টর দিয়ে মাটি কাটছে। আমাদের রাস্তাঘাট ও পাশের জমি নষ্ট হয়ে গেছে।এই চক্রটি কৃষকদের অর্থলোভ দেখিয়ে মাটি বিক্রিতে উৎসাহিত করে।
দেবীপুর গ্রামের বাসিন্দা জলিল মিয়া বলেন,দেবীপুর থেকে কাদলা বাজার পর্যন্ত রাস্তাটি কয়েকদিন আগে ঠিক করা হয়েছে। ট্রাক্টর দিয়ে মাটি কাটায় আবারো নষ্ট হয়ে গেছে। তুলপাই একটি প্রজেক্ট থেকে দীর্ঘদিন মাটি বিক্রি করার ফলে তুলপাই টু গুলবাহার রাস্তাটির বেহাল দশা হয়ে গেছে। একদিকে রাস্তা ভেঙ্গে যাচ্ছে অপরদিকে রাস্তায় মাটি জমে থাকায় প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। সিএনজি চালক রাসেল মিয়া বলেন,তুলপাই থেকে গুলবাহারের রাস্তাটি অল্প কিছুদিন আগে পাঁকা করা হয়েছে। ট্রাক্টর দিয়ে মাটি আনা নেওয়ায় এখন রাস্তাটি ভেঙ্গে গেছে। ফতেপুর গ্রামের আলী হোসেন বলেন, ট্রাক্টরের মাটি রাস্তায় পড়ে হাঁটু সমান হয়ে গেছে। কুয়াশায় মাটি ভিজে গিয়ে প্রতিদিন হোন্ডা, সিএনজি অটোরিকশা দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। কচুয়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ মেজবাহ উদ্দিন বলেন,ফসল উৎপাদনের জন্য যে জৈব পদার্থ দরকার তা জমির উপরিভাগ থেকে আট ইঞ্চি গভীর পর্যন্ত। মাটির উপরিভাগ কেটে ফেললে জমির উর্বরতা শক্তি কমে যায় ও ফসল উৎপাদন কম হয়।
কচুয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বাপ্পী দত্ত রনি বলেন, ফসলি জমির মাটি কাটার বিষয়ে কেউ জানালে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করি।গত কয়েকদিন ফসলি জমির মাটি কাটা বন্ধে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন
বিষয়: * কচুয়ায় ফসলি জমির মাটি বিক্রির সিন্ডিকেট বেপরোয়া হয়ে উঠেছে
সাম্প্রতিক সংবাদ