সৈয়দ ফজলুল করীম রহ. ছিলেন সকল বাতিলের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর
মারুফ সরকার, রিপোর্টার :
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মাদ ফজলুল করীম রহ. ছিলেন হকের পক্ষে সকল বাতিলের বিরুদ্ধে এক বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর।
বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পর এদেশে ইসলামী আন্দোলনের দিগন্ত উন্মোচন করেছেন হাফেজ্জী হুজুর রহ.। তাঁর পর পীরসাহেব চরমোনাই রহ. ইসলামী আন্দোলনের এই মিশনকে সম্প্রসারিত করেছেন দেশের সর্বত্র। তিনি জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বাংলাদেশে খেলাফত ভিত্তিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার এক বিপ্লবী মিশন নিয়ে কাজ করেছেন।
রাষ্ট্র সংস্কারের ব্যাপারে আজ থেকে বহু বছর পূর্বে তাঁর কালজয়ী বিপ্লবী শ্লোগাণ ছিল; শুধু নেতা নয় নীতির পরিবর্তন চাই। ২০২৪ সালে রাষ্ট্র কাঠামো ঠিক করার জন্য ৬ টি সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে। এই সংস্কারে পশ্চিমা বর্জুয়া নীতিগুলো পরিবর্তন করতে হবে। পশ্চিমা নীতি আদর্শকে ধারণ করে সংস্কার করলে দেশের মৌলিক সমস্যা কখনোই দূর হবে না। সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জাতীয় চেতনাবোধ, জাতিসত্তা এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের সভ্যতা- সংস্কৃতিকে ধারণ করে সংস্কার কার্যক্রমে হাত দিতে হবে।
আজ ১৫ ই নভেম্বর’২৪ শুক্রবার বাদ জুমা রাজধানীর ভাটারাস্থ আবু সাঈদ অডিটোরিয়ামে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর স্বপ্নদ্রষ্টা আমীর মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মাদ ফজলুল করীম পীরসাহেব চরমোনাই রহ. এর ‘রাজনৈতিক দর্শন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ইসলামী যুব আন্দোলন ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি যুবনেতা মুফতি হাফিজুল হক ফাইয়াজের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি হাফেজ মোহাম্মদ ইকবালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’র সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ। অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন প্রিন্সিপাল আ হ ম আলাউদ্দিন, ইঞ্জিনিয়ার জহিরুল ইসলাম ইমরান, হাফেজ মাওলানা মুস্তায়িজ বিল্লাহ, ইন্জিনিয়ার কবির হোসেন প্রমুখ।
প্রধান অতিথি আরো বলেন, সন্ত্রাস, দুর্নীতি, কায়েমী স্বার্থবাদ ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে বৃহত্তর গণ আন্দোলন সৃষ্টির কার্যকর রূপকার ছিলেন পীরসাহেব চরমোনাই রহ.। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান পরবর্তী নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে তিনি আমাদের পথ প্রদর্শক।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রিন্সিপাল শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেন, ইসলামপন্থীদের লেজুরবৃত্তি ও রাজনীতির সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহারের সংস্কৃতি থেকে পীর সাহেব চরমোনাই রহ. বের করে এনেছেন। ইসলামী নেতৃত্বকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে গঠনমূলক পদক্ষেপ যুব আন্দোলনকেই গ্রহণ করতে হবে। জুলাই বিপ্লবোত্তর নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে পীরসাহেব চরমোনাইয়ের নীতি ও আদর্শকে ধারণ করে ইসলামী যুব আন্দোলনের বৈচিত্র্যময় কর্মতৎপরতা আরো বৃদ্ধি করতে হবে। বস্তুবাতী রাজনীতির ঘোর অমানিশা থেকে দিকভ্রান্ত যুব সমাজকে ইসলামের সুশীতল ছায়ায় নিয়ে আসতে হবে। সন্ত্রাস ও মাদক নির্মূলে যুব সমাজকেই এগিয়ে আসতে হবে। আগামীর বাংলাদেশ হবে সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত বাংলাদেশ। ইসলামী যুব আন্দোলনকে সেটা নিশ্চিত করতে হবে।