ঢাকায় সেসিপি কর্মকর্তা-কর্মচারী দ্বারা শিক্ষক লাঞ্চিত, নীলফামারীতে কর্মবিরতি ও মানববন্ধন
এসময় বক্তব্য দেন, সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক আলমগীর কবির, রেজওয়ানুল কবির রিজু, ফারহানা হক, শিরীন বানু, সহকারী শিক্ষক বুলবুল আহমেদ,শাহীন হকসহ অনেকে।
তারা বলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে শিক্ষকদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীকে নশ্চাৎ করার জন্য সেসিপি প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারী দিয়ে হামলা করা হয়। যা ন্যাক্কারজনক। তাই অবিলম্বে শিক্ষকদের উপর হামলাকারীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় না আনা পর্যন্ত কর্মসূচী অব্যাহত থাকবে। সেইসাথে সাত দফা দাবি রাখেন মানববন্ধনে।
দাবিগুলো হলো- শিক্ষক লাঞ্ছিতের সাথে জড়িত শিক্ষা কর্মকর্তা ও সেসিপ প্রকল্পের কর্মচারীদের গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। নিয়োগ বিধি অনুযায়ী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের মোট পদের ৫০ ভাগ সিনিয়র শিক্ষকদের পদায়নের চলমান কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে। সহকারী শিক্ষক হতে সহকারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের শূণ্যপদে পদায়ন করতে হবে। দীর্ঘদিনের বৈষম্য নিরসনে এন্ট্রিপদ (সহকারী শিক্ষক) ৯ম গ্রেডে উন্নীতকরণসহ ৪ স্তরীয় (সরকারি কলেজের ন্যায়) পদসোপান বাস্তবায়ন করতে হবে। বকেয়া টাইম স্কেল, সিলেকশন গ্রেড ও অগ্রিম বর্ধিত বেতন সমস্যার সমাধান করে দ্রুত মঞ্জুরী আদেশ প্রদান করতে হবে। মাধ্যমিক শিক্ষায় চলমান বৈষম্য নিরসনে ২০১০ এর শিক্ষানীতির আলোকে মাধ্যমিকের জন্য “স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর” প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং প্রকল্প থেকে আর কোন জনবলকে রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্ত করা চলবে না।