সৈয়দপুরে আত্মীয়ের বাড়িতে দাওয়াত খেতে এসে জামায়াতের তিন নেতা আটক 

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:
নীলফামারীর সৈয়দপুরে জামায়াতের তিন নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশের দাবী তারা এখানে গোপন বৈঠকে মিলিত হয়ে নাশকতার পরিকল্পনা করছিল। পক্ষান্তরে জামায়াতের দাবী আত্মীয়ের বাড়িতে দাওয়াত খেতে এসে তারা বিনা মামলা ও ওয়ারেন্টে আটক হয়েছে। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০ টায় সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের ধলাগাছ এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটক তিন নেতা হলেন, নীলফামারী জেলার সহকারী সেক্রেটারি এ্যাড. আল ফারুক আব্দুল লতিফ, সৈয়দপুর উপজেলা সেক্রেটারি আলহাজ্ব মাজহারুল ইসলাম ও উপজেলা কর্মপরিষদ সদস্য খয়রাত হোসেন বসুনিয়া। তাদের নীলফামারী সদর থানায় ২০২২ সালে করা বিশেষ ক্ষমতা আইনের একটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
আটকের সময় একটি প্রাইভেট কার ও ৩ টি মোটর সাইকেল জব্দ করা হয়েছে। এখানে তারা সৈয়দপুর উপজেলা আমীর হাফেজ মাওলানা আব্দুল মুনতাকিমের বাসায় দাওয়াত খেতে এসেছিল। হাফেজ মুনতাকিমের স্ত্রী নীলফামারী জেলা সহকারী সেক্রেটারি এ্যাড. আল ফারুকের আত্মীয় তথা বোন।
নীলফামারীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সৈয়দপুর সার্কেল) কল্লোল কুমার দত্ত জানান, সৈয়দপুর উপজেলা জামায়াতের আমীর হাফেজ আব্দুল মুনতাকিমের বাড়িতে জামায়াত নেতারা গোপন বৈঠক করছিলেন- এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। সেখান থেকে দলটির নীলফামারী জেলা শাখার সহকারী সেক্রেটারি এ্যাড. আল ফারুক আব্দুল লতিফ এবং সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়ন শাখার আমীর খয়রাত হোসেন বসুনিয়া ও কামারপুকুর ইউনিয়ন শাখার সেক্রেটারী মাজহারুল ইসলামকে আটক করা হয়।
এ্যাড. আল ফারুক আব্দুল লতিফের স্ত্রী নাদিরা ফেরদৌসী সুমী বলেন, সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে আমার স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ। তিনি সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ধলাগাছ এলাকায় তাঁর দূরসম্পর্কের বোনের বাড়িতে দাওয়াত খেতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে তাকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বশত: অনৈতিক ও বেআইনী ভাবে আটক করা হয়েছে। এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি এবং দ্রুত তাঁর স্বামীর মুক্তি দাবী করেন।
জামায়াতের সৈয়দপুর উপজেলা আমীর হাফেজ মাওলানা আব্দুল মুনতাকিম বলেন, শুধুমাত্র ভিন্ন মতের রাজনীতির সাথে জড়িত থাকায় জামায়াত নেতাদের সামাজিক অনুষ্ঠান তথা আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে বেড়াতে আসলেও কোন মামলা বা ওয়ারেন্ট না থাকলেও গ্রেফতার করা হচ্ছে। যার উৎকৃষ্ট প্রমাণ আজ আমার বাড়িতে দাওয়াত খেতে আসা নেতাদের আটক করার ঘটনা। তিনি আটক নেতাদের বিরুদ্ধে আনিত মিথ্যে অভিযোগ তুলে নিয়ে অনতিবিলম্বে তাদের মুক্তির দাবী জানান।
সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহা আলম বলেন, আটক জামায়াত নেতাদের ইতোপূর্বে নীলফামারী সদর থানায় করা বিশেষ ক্ষমতা আইনের একটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে নীলফামারীতে পাঠানো হয়েছে। আর নীলফামারী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ তানভীরুল আলম বলেন, সৈয়দপুরে আটক জামায়াত নেতাদের স্পেশাল এ্যাক্টে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। পরে নীলফামারী জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে নেয়া হলে বিচারক আয়শা সিদ্দিকা জামিন আবেদন নাকচ করে তাদের জেলা কারাগারে পাঠিয়েছেন।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

বিষয়: * জামায়াতের তিন নেতা আটক
লাইভ রেডিও
সর্বশেষ সংবাদ