“হবলু পাগলা সমাচার” বইয়ের ব্যাপক সাড়া

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি:
অমর একুশে বইমেলায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মোড়ক উন্মোচন হওয়া বই “হবলু পাগলা সমাচার” দ্বিতীয় খন্ড।  বইটির লেখক তাড়াইল উপজেলা প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ সভাপতি ও দৈনিক জাগো প্রতিদিন পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি ওয়াসিম উদ্দিন সোহাগ।
সোস্যাল মিডিয়ায় এ বছর নতুন লেখকদের যে কয়েকটি বইয়ের সাড়া পাওয়া গেছে তারমধ্যে হবলু পাগলা সমাচার বইটি অন্যতম। বইমেলাসহ বিভিন্ন লাইব্রেরী ও পাঠকদের হাতে শোভা পাচ্ছে এই বই। লেখকের নিজ উপজেলা তাড়াইলে গিয়ে দেখা যায় উপন্যাস ক্যাটগরির এই বইটি নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। রাস্তার বিভিন্ন পাশে রয়েছে ফেস্টুন লাগানো। ব্যক্তি ও জোটবদ্ধভাবে পাওয়া গেছে হবলু পাগলা সমাচার দ্বিতীয় খন্ড বই।
বইটির জনপ্রিয়তা নিয়ে বিভিন্ন জনের কাছে জিজ্ঞেস করলে তারা বলেন, লেখকের এই বইটির মাঝে কি যেন আছে। একটি পৃষ্ঠা পড়লে আরেকটি পৃষ্ঠা পড়তে মন চায়। লেখক কল্পনার আঙ্গিকে এলাকার নাম,পথঘাট নিয়ে কাহিনী লেখায় পাঠকের আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে।কেন্দ্রিয় চরিত্র হিসাবে হবলু  পাঠকদের আস্থা কুড়াতে সক্ষম হয়েছে। তাই চরিত্রটি ধীরে ধীরে মানুষের মন জয় করে নিচ্ছে। বইটি পড়ে বুঝা যায় লেখক তার আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে চরিত্রটি তৈরি করেছে। অনেকেই বলেছেন হবলু পাগলার চরিত্রের ধারাবাহিকতা ঠিক থাকলে এই চরিত্রটি একদিন বাংলা সাহিত্যেয় জনপ্রিয় চরিত্র হিসাবে পরিগনিত হবে।
জানা যায়, এ বছর একুশে বইমেলায় প্রায় দুইশত নতুন লেখকের আবির্ভাব ঘটেছে। এর মধ্যে ওয়াসিম উদ্দিন সোহাগ অন্যতম একজন। তার লেখা হবলু পাগলা সমাচার দ্বিতীয় খন্ড বইটি অমর একুশে বইমেলায়  সোহরাওয়ার্দী উদ্যাণে  মোড়ক উন্মোচন হয়। অনুষ্ঠানটি ছিল চোখে পড়ার মতো। যেখানে এনটিভির বার্তা সম্পাদক ও টকশো “এই সময়” এর উপস্থাপক সীমান্ত খোকন প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও অনুষ্ঠানকে প্রানবন্ত করতে সাহিত্যপ্রেমী অনেক জ্ঞানী গুণী ও বিশিষ্টজনরা অংশগ্রহণ করেছিলেন।
হবলু পাগলা চরিত্রটি সম্পর্কে লেখকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হবলু পাগলা একজন সাচ্চা স্বাধীন ভবঘুরে মানুষ। মানব দরদী এই মানুষটি বছরে দুমাস পাগল হওয়ার দলিল রয়েছে। পাগল থাকা অবস্থায়ও কোন অন্যায়কে প্রশ্রয় দিতে দেখা যায়নি। অন্য সাধারণ মানুষের সুবিবেক যেখানে ঘুমন্ত,  মানুষ ও মানবতার ক্ষেত্রে হবলু পাগলার বিবেক সেখানে সদা জাগ্রত।  লেখক আরো বলেন, হবলু পাগলার মানবিক গুণ ও বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কৌশল দেখে আমি নিজেই অবাক হয়ে যাই। ছোট ছোট সমস্যাগুলি যা দুর থেকে আমরা সাধারণ ভেবে থাকি কিন্তু প্রকৃত পক্ষে তা জটিল। সময়ের কারণে তা অনেক কঠিন কাজ।
সেইসব ছোট খাটো জটিল ঘটনাকে হবলু তার অনুসন্ধানী জ্ঞানের দ্বারা সামনে নিয়ে আসেন। এবং সমাধানে তৎপর হয়। যেমন প্রত্যন্ত অঞ্চলে এক মা তার সন্তানকে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করানোর জন্য ফরম ও ছবিতুলা বাবদ একশত টাকার প্রয়োজন। কিন্তু সে পাড়াময় সকলের দ্বারে দ্বারে যাওয়ার পরেও তাকে কেউ টাকা দেয়নি। এদিকে সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে একশত টাকা না হলে ছেলেকে ভর্তি করাতে পারবে না।
এই একশত টাকার সমস্যাটি তার কাছে পাহাড়সম মনে হলেও অন্যদের কাছে তা কিছুই মনে হয়নি। কিন্তু হবলু পাগলা তা হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করে তার সমাধানে তৎপর হয়।  এমন অনেক ব্যর্থতা, দীর্ঘ শ্বাস ও  অসময়ের জটিল কাহিনি নিয়ে এই উপন্যাসটি লেখা হয়েছে। হবলু পাগলা তার মানবিক গুণ ও বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগিয়ে অসহায় সেইসব মানুষের পাশে দাঁড়ায়। লেখক হবলু পাগলা চরিত্রের মাধ্যমে সমাজের অনেক অন্যায় অবিচার লেখনীর মাধ্যমে শব্দের গাথুনীতে তুলে ধরেছেন।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

বিষয়: * “হবলু পাগলা সমাচার”
লাইভ রেডিও
সর্বশেষ সংবাদ