বেনাপোলে হোরোইন পৃথক মামলায় ২জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড
বেনাপোল প্রতিনিধি:
যশোরে আলাদা হেরোইনের মামলায় শার্শা ও বেনাপোলের দুই মাদক ব্যবসায়ীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন বেনাপোল অগ্রণী ব্যাংক এলকার রফিকুল ইসলামের ছেলে জাহান্দার আলম হিমু ও শার্শার কন্যাদহ গ্রামের মজনু মিস্ত্রির ছেলে রাজু হোসেন।
সোমবার (২২জানুয়ারি) বিশেষ দায়রা জজ ও বিশেষ জজ (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ সামছুল হক ও অতিরিক্তি দয়রা জজ ফারজানা ইয়াসমিন আলাদা রায়ে এ আদেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্পেশাল পিপি সাজ্জাদ মুস্তাফা রাজা ও অতিরিক্তি পিপি আসাদুজ্জামান।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০১০ সালের ১৩ জুন কোতয়ালি থানা পুলিশ যশোর-বেনাপোল সড়কের তেঘরিয়া মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন যানবাহন তল্লাশি করে। বিকেলে বেনাপোল থেকে ছেড়ে আসা একটি যাত্রীবাহী বাস তল্লাশিকালে জাহান্দার আলম হিমুর কাছ থেকে একশ’ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় এসআই মিজানুর রহমান হিমুকে আসামি করে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন।
এ মামলার তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সাব্বিরুল আলম। জাহান্দার আলম হিমুর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিশেষ দায়রা জজ ও বিশেষ জজ (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ সামছুল হক তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদন্ডের আদেশ দেন। সাজাপ্রাপ্ত হিমু পলাতক রয়েছেন।
অপরদিকে, ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি শার্শা থানা পুলিশ কন্যাদহ বাজারে অভিযান চালিয়ে রাজু হোসেনকে আটক করে। তার কাছ থেকে ২০০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় এসআই আনোয়ারুল আজিম বাদী হয়ে রাজুর বিরুদ্ধে শার্শা থানায় মামলা করেন। এ মামলার তদন্ত শেষে এসআই রফিকুল ইসলাম রাজুকে অভিযুক্ত করে ওই বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি আদালতে চার্জশিট জমা দেন। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় রাজুর উপস্থিতিতে অতিরিক্তি দায়রা জজ ফারজানা ইয়াসমিন তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড, পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন।