সদরুল আইনঃ

আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটিয়ে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে দেশব্যাপী চতুর্থ দফায় ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ চলছে।

রোববার (১২ নভেম্বর) সকাল থেকে সড়ক, রেল ও নৌপথে চতুর্থ দফার প্রথম দিনের অবরোধ শুরু করে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো।

এ দিন সকাল থেকে রাজধানীতে তুলনামূলক কম যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে বেড়েছে যানবাহনের সংখ্যা। অবরোধের কোন প্রভাব নেই রাজধানীতে। তবে চোরা গুপ্তা হামলা ও আকস্মিক বাসে অগ্নিসংযোগের আশংকায় মোড়ে মোড়ে সতর্ক অবস্থান নিতে দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের।

দূরপাল্লার বাসগুলোকে বাসস্ট্যান্ডে অবস্থান করতে দেখা গেছে। বেশিরভাগ দূরপাল্লার বাসে যাত্রী নেই। ট্রেন চলছে, তবে সীমিত সংখ্যক যাত্রী নিয়ে।

 গত ৯ নভেম্বর বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে নতুন করে অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ পণ্ড হওয়ার পর থেকেই অবরোধের মতো কর্মসূচি পালন করে আসছে বিএনপি। কয়েক দফার অবরোধ চলাকালে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও যানবাহনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটছে। সারাদেশে বিএনপিসহ বিরোধী দলের শত শত নেতা-কর্মীকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।