নীলফামারীর ডিমলায় হিরোইনসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)। গ্রেপ্তারকৃতদের মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তাদের সোমবার বেলা সাড়ে ১২টায়  অভিযান চালিয়ে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার বাড়ী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার মাদক বিক্রেতারা হলেন উপজেলার বাবুর হাট এলাকার মো: আব্দুল ওয়ারেজের ছেলে মো: শাহ্ আলম (৪৭) ও একই উপজেলার মৃত সমেত উল্লাহর ছেলে মো: তইবুল ইসলাম (৪০)। মো: শাহ্ আলম যুবলীগের ডিমলা উপজেলার সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তইবুল ইসলাম উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা।

মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মো: শাহ্ আলমের বাড়ীর একটি কক্ষে চার গ্রাম হোরোইন এবং আরেকটি পলিথিনের প্যাকেটে হোরোইনের ২৫টি পুরিয়াসহ মো: তইবুল ইসলামকে আটক করা হয়। এসময় তাদের মাদকাসক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।

এই ঘটনায় উপজেলা জুড়ে সমালোচনার ঝড় বইছে। আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মীরা বলেন, গ্রেপ্তার দুইজন যুব মহিলা লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সরকার ফারহানা আক্তার সুমির ঘনিষ্ঠ এবং ডিমলায় সুমি গ্রুপের নেতৃত্বেও তারা। ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থ করতে তিনি এই বিতর্কিতদের দলে ভিড়িয়েছেন।

তারা বলেন, বঙ্গবন্ধুর নীতি আদর্শ বহির্ভূত এমন কাণ্ড দেখেও সরকার ফারহানা আক্তার সুমি মূখ বুঝে থাকেন। এ ঘটনায় আমরা খুব বিব্রত বোধ করছি এবং দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্নকারী এসব ব্যক্তির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও এখনই দল থেকে বহিষ্কার করা প্রয়োজন।

নীলফামারী মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন জানান, দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা মাদক সেবন ও বিক্রি করে আসছিল। আমাদের চৌকষ সদস্যদের একটি টিম অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। পরে তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ মো: লাইছুর রহমান জানান, ডিএনসি উপপরিদর্শক মো. মশিয়ার রহমান বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করেছেন। আজ মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।