ঐতিহাসিক পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের মুল মন্দিরের চারপাশ জলাবদ্ধতা, ভোগান্তিতে দর্শনার্থীরা
বদলগাছী নওগঁা প্রতিনিধি:
সামান্য বৃষ্টিতে বিশ্ব ঐতিহ্য নওগঁার বদলগাছীর ঐতিহাসিক পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের মূল মন্দিরের চারিপাশ পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতেকরে দর্শনার্থীরা স্বাভাবিকভাবে মূল মন্দিরের চারিপাশ দিয়ে ঘুরতে পারছে না। মূল মন্দিরের দুটি পাম্প নষ্ট হওয়ায় এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে কতৃর্পক্ষ।
দর্শনার্থী আইয়ুব আলী বলেন, আমরা অনেক দূর থেকে পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার দেখতে এসেছি। বিহারের মূল মন্দিরের চার পাশে বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। আমরা কয়েক জন হঁাটুপানি ভেঙে মূল মন্দির দেখতে গিয়েছি। আমাদের সঙ্গে থাকা নারী দর্শনার্থীরা সেখানে যেতে পারেননি।
পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার সূত্রে জানা গেছে, জাদুঘরের চেয়ে মুল মন্দির এলাকা অনেক নিচু। বর্ষা মৌসুমে সামন্য বৃষ্টিতে মূল মন্দির এলাকার চারিপাশে পানি জমে থাকে। এতে মূল মন্দিরে যাওয়ার রাস্তাটি পানিতে ডুবে যায়। সেখানে দুটি পাম্প বসানো ছিল। পাম্প দুটি অকেজো হওয়ায় সেচ কাজ করা যায়নি। গত দুই দিনের টানা বৃষ্টিতে মূল মন্দির এলাকার কোথাও তিন ফুট আবার কোথাও পাঁচ ফুট পানি জমে আছে। একারণে দর্শনার্থীদের মুল মন্দিরে যেতে সমস্যা হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মুল মন্দরটিকে ঘিরে পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারের মূল আকর্ষণ। দর্শনার্থীরা এসে মূল মন্দির দেখতে যান। বর্ষা মৌসুমে মূল মন্দিরে পানি জমে থাকত। বৃষ্টি থেমে গেলে দুটি পাম্প দিয়ে জমে থাকা পানি সেচ করে বাহিরে বের করে দিতো। এতে মুল মন্দিরে জলাবদ্ধতা থাকত না।
গত দুই বছর ধরে ঐ দুটি পাম্প নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। এরপর থেকে বর্ষা মৌসুমে মূল মন্দিরের চারিপাশে পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। এতে করে পাহাড়পুওে ঘুরতে আশা দর্শনার্থীরা দুর্ভোগে পড়েছেন। পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার গেট সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা সবুজ পারভেজ বলেন, বিশ্ব ঐতিহ্য পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারের মূল মন্দিরের চারিপাশে পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
সামন্য বৃষ্টির পানিতে মূল মন্দিরের চারিপাশ জলাবদ্ধতা হওয়ার কথা স্বীকার করেছেন পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার জাদুঘরের কাস্টেডিয়ান ফজলুল করিম আরজু। তিনি বলেন, প্রতিদিন হাজার হাজার দেশি বিদেশি দর্শণার্থীরা এই পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার দেখতে আসেন। সামান্য বৃষ্টিতেই বিহারের চারপাশে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়।
এই জলাবদ্ধতা প্রায় ৪-৫ মাস পর্যন্ত থাকে। এতে দর্শনার্থীদের কিছুটা ভোগান্তিতে পরতে হয়। বৌদ্ধবিহারে পানি নিষ্কাশনের জন্য তেমন কোন আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবস্থাও নেই। দুটি মটর থাকলেও যা দীর্ঘদিন যাবত অকেজো। পানি নিষ্কাশনের জন্য দ্রুত পাম্পের ব্যবস্থা করা হবে।
বদলগাছী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আলপনা ইয়াসমিন বলেন, পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারের মন্দিরেরর চারপাশে পানি জমে জলাবদ্ধতার কথা আমার জানা নেই। কাস্টেডিয়ানেরর সঙ্গে কথা বলে দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হবে।