শেরপুরে তরুণীকে যৌনপল্লীতে বিক্রির অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার!
শেরপুর প্রতিনিধি:
শেরপুরের শ্রীবরদীতে এক তরুণীকে বিয়ের প্রলোভনে যৌনপল্লীতে বিক্রির অভিযুক্ত লোকমানকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৪, জামালপুর। রবিবার (১৩ আগস্ট)দিবাগত রাতে ঢাকার দক্ষিণখান এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত লোকমান শেরপুর সদর উপজেলার চর শেরপুর নিপাড়া গ্রামের ইসমাইল ওরফে ফেডাইয়ার ছেলে।
র্যাব জানায়, ভিকটিমের বাবা- মা ঢাকার একটি পোষাক কারখানার শ্রমিক। গত দুই বছর আগে
ঝিনাইগাতী উপজেলার পাইকুড়া গ্রামের রেজ্জাক আলীর ছেলে বিপ্লবের সাথে ভিকটিমের বিয়ে হয় । স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মিল না থাকায় ভিকটিমকে তার বাবা-মা ঢাকায় নিয়ে যায়। লোকমান ভিকটিমের মায়ের সাথে একই কারখানায়চাকুরির করতো। এর সুবাদে লোকমান ওই বাসায় যাতায়াত করতো। এক পর্যায়ে লোকমানের সাথে ভিকটিমের প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে। বিষয়টি জানাজানি হলে ভিকটিমের বাবা-মা তাকে শ্রীবরদী উপজেলার লঙ্গরপাড়া গ্রামে নানার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।
পরবতীতে লোকমান গত ২০জুন ভিকটিমকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে জামালপুরের যৌনপল্লীতে বিক্রি করে দেয়। লোক জানাজানি ও ভিকটিমের সংসার ভাঙ্গার ভয়ে তার পরিবার বিষয়টি গোপন রাখে।
গত ৫ আগষ্ট অপরিচিত মোবাইল নম্বর থেকে ভিকটিম বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করাবস্থায়
ফোনের লাইন কেটে যায়। ওই মোবাইল নম্বরের সুত্র ধরে ৯ আগষ্ট শ্রীবরদী থানার অফিসাী ইনচার্জ বিপ্লব কুমার বিশ্বাসের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম জামালপুর যৌনপল্লী থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করে। অপরদিকে লোকমান আত্মগোপনে চলে যায়।
অবশেষে র্যাব-১৪, জামালপুর এর একটি আভিযানিক দল বিভিন্ন তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে লোকমানকে ঢাকার দক্ষিণখান এলাকা থেকে মানব পাচারের অপরাধে লোকমানকে গ্রেপ্তার করে।গ্রেপ্তারকৃত লোকমানকে রবিবার রাতেই শ্রীবরদী থানায় সোর্পদ করা হয়েছে। শ্রীবরদী থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার বিশ্বাস এ বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গ্রেপ্তারকৃত মানব পাচারকারী লোকমানকে সোমবার সকালে শেরপুর আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে।