সিলেট-৪ আসনে জনপ্রিয়তার শীর্ষে আওয়ামী লীগ নেতা গোলাপ মিয়া
মারুফ সরকার, স্টাফ রিপোর্টার:
সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও গোয়াইনঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গোলাপ মিয়া বলেছেন, সিলেট জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা, গোয়াইনঘাট ও জৈন্তাপুর উপজেলার মানুষের প্রধান সমস্যা হলো কর্মসংস্থানের অভাব। আর এ সমস্যার সমাধান অত্যন্ত জরুরী। আমি এলাকার প্রতিটি মানুষের সঙ্গে চলি। আমি মাটি ও মানুষের নেতা। আর অন্যরা উঠে এসে জুড়ে বসেছে। তারা এলাকার মানুষের মনের বেদনা বুঝতে পারবে না।
ছাত্র জীবন থেকেই রাজনীতিতে যুক্ত গোলাপ মিয়া এবারের জাতীয় নির্বাচনে সিলেট-৪ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন। সাংবাদিকদের দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। সিলেট-৪ আসনটি সিলেট জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা, গোয়াইনঘাট উপজেলা ও জৈন্তাপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত।
সরেজমিন ও খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গোয়াইনঘাট উপজেলা ও জেলা শাখা পূর্ণ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন গোলাপ মিয়ার বাবা এম এ মানিক। এভাবেই আওয়ামী পরিবারে বেড়ে উঠা গোলাপ মিয়া দীর্ঘদিন লন্ডনে প্রবাসী জীবন কাটিয়েছেন। সেখানে তিনি বৃস্টল আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া গোলাপ মিয়া সিলেট মদন মোহন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সদস্য ছিলেন। লন্ডন থেকে বাংলাদেশে চলে এসে ২০০৯ সাল থেকে তিনি ফের রাজনীতিতে সক্রিয় হন। এরপর থেকে তিনি রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছেন।
প্রতিষ্ঠিত এই ব্যবসায়ীর যুক্তরাজ্যের বৃস্টলে চিলি ক্লেক ক্যাটারিং, ইয়াটন তন্দুরি ক্যাটারিং ও পশ ডেভেলপমেন্ট অ্যাপার্টমেন্ট ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান রয়েছে। পাশাপাশি সিলেটের ছালিয়া সালুটিকরে মেসার্স মদিনা এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স মদিনা সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশন, নবীগঞ্জে মেসার্স আউশকান্দি সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশন ও ফেঞ্চুগঞ্জে মেসার্স সিলভেলি সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশন ব্যবসায়ও রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে শতাধিক বাংলাদেশি কাজ করে জীবীকা নির্বহ করছেন। রাজনীতিতে সক্রিয় গোলাপ মিয়া এলাকায় বিভিন্ন সময়ে বিশেষ করে করোনা মহামারি ও বন্যার সময় অসহায় মানুষদের পাশে সহায়তার হাত বাড়িয়েছেন।
রাজনীতির পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তিনি এমএ মালিক জনকল্যাণ ট্রাস্টের সভাপতি, গোয়াইনঘাট উপজেলা উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, গোয়াইনঘাট উপজেলা শাখার শেখ রাসেল স্মৃতি পরিষদের সভাপতি, আঙ্গারজুল আলিম মাদ্রাসার সভাপতি, গোয়াইনঘাট প্রবাসী ঐক্য পরিষদের উপদেষ্টা, সিলেট সালুটিকর ডিগ্রি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, সিলেটের তোয়াকুল ডিগ্রী কলেজের আজীবন দাতা সদস্য ও সিলেটের ডৌবাড়ী ঘোড়াইল কলেজের আজীবন দাতা সদস্য।
খোঁজ নিয়ে আরও জানা যায়, গত এক যুগে এলাকার সাধারণ মানুষের পাশাপাশি দলের নেতা কর্মীদের আস্থা অর্জন করেছেন গোলাপ মিয়া। সিলেট জেলা আওয়ামী, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ, গোয়াইনঘাটন উপজেলা আওয়ামী লীগ, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতা কর্মীদের নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গন যথাযথ ভূমিকা রেখে চলেছেন।
মানুষের সেবা করাই জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য জানিয়ে গোলাপ মিয়া বলেন, দেশের জন্য ও দেশের মানুষের জন্য কিছু করতে চাই। মাননীয় নেত্রী শেখ হাসিনা যখন যে নির্দেশনা দিবেন, সেই নির্দেশনা অনুসারে কাজ করে যাবো। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয় নিয়ে দেশরত্ন শেখ হাসিনার ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পর এবার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সমাজের পিছিয়ে পড়া অবহেলিত নিপিড়িত গরীব-দুঃখী মানুষদের পাশে দাঁড়ানো আমার প্রধান উদ্দেশ্য। স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করায় আমি বিভিন্ন মিথ্যা মামলা ও নির্যাতনের শিকারও হয়েছি।