সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মাসুদ নবী মুন্নাকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী ঘোষণা
রংপুর থেকেঃ
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের বলেছেন, রংপুর আন্দোলন সংগ্রামের সুতিকাগার। আগামীতে যদি কোন আন্দোলনের ঘোষণা দেই তবে রংপুর থেকে তা কার্যকর করার জন্য নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকতে হবে।
২০২৪ সালে সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মাসুদ নবী মুন্নাকে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী ঘোষণা দেন তিনি। জিএম কাদের বলেন, ডলারের মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে। সরকারের হাতে টাকা নেই, বিদেশি ডলারও নেই। সরকার অর্থকষ্টে ভুগছে। দেশের জনগণ কষ্ঠে আছে। দ্রব্যমূল্য প্রতিদিন বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্রয় ক্ষমতা হারাচ্ছে জনগণ। শহর ছেড়ে গ্রামে যাচ্ছে মানুষ। দেশের টাকা বিদেশে পাচার করা হচ্ছে। ইমপোর্ট বন্ধ। জনগণের টাকার বিলাসিতা করা হচ্ছে। ব্যাংক ঋন দিচ্ছে না সরকারকে। তাই টাকা ছাপিয়ে সংকট মোকাবেলা করা হচ্ছে। ২৭ শে মে রোজ শনিবার বিকেলে পাগলাপীর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ ও ঈদগাহ মাঠে সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির আয়োজনে জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
জিএম কাদের বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য আমরা সবদল আন্দোলন করেছি। কোনো কোনো সময় নির্বাচন বর্জন করেছি। আবার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিরুদ্ধেও আওয়ামী লীগের সঙ্গে আন্দোলন করেছি। এ দুটি ব্যবস্থার বাইরেও একটি ব্যবস্থা দরকার। আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সব দলের অংশ গ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য এবং জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিতভাবে প্রয়োগ করার জন্য এটি প্রয়োজন। এজন্য সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। জিএম কাদের বলেছেন, একটি পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে দেশের ৮০ ভাগ ভোটার নিশ্চিত করতে পারছে না তারা কোথায় ভোট দিবেন। আমরা সে ৮০ ভাগ ভোটারদের লক্ষ্য করে কাজ করছি। আমরা দেখছি একটি ট্রাকের পেছনে হাজার হাজার মানুষ ছুুটছে। মধ্যবিত্ত অনেক মানুষ সেখানে যেতে পারছেন না। দেশের মানুষের কষ্টে আছে। জনগণের কষ্ট লাঘবে রেশনিং কার্ডের মাধ্যমে পণ্য দেওয়া দরকার। আমরা হাজার হাজার কোটি টাকার মেগা প্রজেক্ট করতে পারি কিন্তু দেশের মানুষকে বাঁচাতে কোনো উদ্যোগ নিতে পারি না!
প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তা ইসির উদ্বৃতি দিয়ে জিএম কাদের বলেছেন, দেশের প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তা বলেছেন, সরকারের সৎইচ্ছা ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু করা সম্ভব নয়। এর মানে কি সরকারেরও দায়বদ্ধতা রয়েছে। বর্তমানে যে পদ্ধতিতে নির্বাচন আয়োজনের চেষ্টা চলছে তাতে আমাদের বিশ্বাস নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করা সম্ভব হবে না। আমরা এর কিছু পরিবর্তন দেখতে চাই। ডাঃ এখলাছউদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য, জেলা জাপার আহবায়ক ও রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, আহসান আদেলুর রহমান এমপি,মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসিরসহ জেলা ও উপজেলার নেতৃবৃন্দ।