আমার স্বপ্ন মরে গেছে; এখন পরিবারের বোঝা হয়ে থাকতে হবে

জাবেদ শেখ, শরীয়তপুর প্রতিনিধি:’
শরীয়তপুর সখিপুরে শিক্ষকের অবহেলায় এসএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করতে পারেনি প্রতিবন্ধী এক কিশোরী। দৃষ্টান্তমুলক বিচার চেয়ে শিক্ষা অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই শিক্ষার্থী ।
শরীয়তপুর জেলার সখিপুর থানার এস আই দাখিল মাদ্রাসার দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছৈয়াল কান্দির মজিবল মিজির  প্রতিবন্ধী মেয়ে নাছিমা আক্তার একাডেমিক সব কার্যক্রম সম্পুর্ণ করার পরেও এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেনি।
প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী নাসিমা বলেন, আমি প্রতিবন্ধী সমাজ এবং পরিবারের বোঝা। আমি এসএসসি পরীক্ষা দিতে না পারায় আমার স্বপ্ন মরে গেছে। আমি খুব বিষন্নতায় ভুগছি। তাই আমি উপজেলা শিক্ষা অফিসার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি। এখন আমার পরিবারের বোঝা হয়ে থাকতে হবে।  আমার সাথে যে অন্যায় হয়েছে আমি তার দৃষ্টান্তমুলক বিচার চাই।
অভিযোগ রয়েছে প্রতিবন্ধী নাছিমা পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ফরম পূরণের টাকা রশিদের মাধ্যমে  অত্র মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষিকা টিউলিজ রহমানের কাছে প্রদান করেন। পরীক্ষা শুরুর আগে মাদ্রাসায় প্রবেশ পত্র আনতে গিয়ে প্রতিবন্ধী নাছিমা দেখেন তার নামে কোন প্রবেশ পত্র আসে নাই। অর্থাৎ প্রতিবন্ধী নাছিমার নামে কোন টাকা পয়সা জমা হয় নাই।
সখিপুর এস আই দাখিল মাদ্রাসার সুপার বলেন, ফরম ফিলাপের দায়িত্ব ছিলো সহকারী শিক্ষিকা টিউলিজ আক্তারের । সে আমার কাছে যেই কয়টি নাম জমা দিয়েছিল সেখানে নাছিমার নাম ছিলো না।এর বেশি আমি জানিনা।
মাদ্রাসা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বলেন, ব্যাপারটা আমি শুনেছি, সুপার বললো ওর নামে টাকা জমা হয় নাই তাই ওর প্রবেশপত্র আসে নাই।
অভিযুক্ত টিউলিজ আক্তারকে ফোন দিলে তার স্বামী মনিরুল বাসার ফোন ধরে বলেন, আমার স্ত্রী শ্রেণি শিক্ষক হিসাবে ফরমের টাকা কালেকশন করে সুপারের কাছে জমা দিয়ে দেওয়া এর বেশি নয়, সেখানে নাছিমার নামেও একহাজার টাকা জমা দেওয়া হয়েছে, এখন নাছিমার প্রবেশ পত্র কেন আসলো না সেটা সুপার বলতে পারবে।
এবিষয়ে শরীয়তপুর জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শ্যামল চন্দ্র শর্মা বলেন, যদি এরকম ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্তা নেওয়া হবে।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

বিষয়: * আমার স্বপ্ন মরে গেছে * বোঝা হয়ে থাকতে হবে
সর্বশেষ সংবাদ