ওয়ার্ল্ড অস্টিওপোরসিস দিবচস ২০২৪ উপলক্ষে রবিবার ২০ অক্টোবর বিএসএমএমইউ এর সি ব্লক এর সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়। এবারের প্রতিপাদ্য হলো Say no to fragile bones. র্যালির শুরুতে সহকারী অধ্যাপক ডা. নাদিম কামাল অস্টিওপরোসিস ডে এর গুরুত্ব ও উপপাদ্য বিষয় সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিকাল মেডিসিন এন্ড রিহ্যাবলিটেশন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এম এ শাকুর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দিয়ে বেলুন উত্তোলনের মাধ্যমে র্যালির উদ্বোধন করা হয়। র্যালিতে অর্ধশাধিক ডাক্তার, ফিজিওথেরাপিস্ট, নার্স, কর্মকর্তা ও কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন। র্যালি সম্পপ্তির পর সি ব্লকের নীচতলায় ফিজিক্যাল মেডিসিন ও রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগের ক্লাশরুম কামরুল ইসলাম সেমিনার রুমে একটি গুরুত্বপূর্ণ সেমিনার শুরু হয। সেমিনারে মূল বক্তা ছিলেন সহকারী অধ্যাপক ডা. নাদিম কামাল, তিনি অস্টিওপরোসিস এর কারণ প্রতিকার, প্রতিরোধ সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা দেন। অনুষ্ঠান এ প্রযোজনায় ছিলেন সহকারী অধ্যাপক ডা. গোলাম নবী আজাদ। প্যানেল অফ এক্সপার্ট ছিলেন অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোজাফফর আহম্মেদ ও সহযোগী অধ্যাপক ডা. নুরুজ্জামান খন্দকার নোমান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফিজিক্যাল মেডিসিন ও রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এম এ শাকুর। অনুষ্ঠানে হাড়ক্ষয় নিয়ে এবং তার কারণ প্রতিকার চিকিৎসা নিয়ে সার্বিক আলোচনা হয়। সেখানে বলা হয় কোন রোগীর হাড়ক্ষয় আছে কিনা সেটা বুঝার জন্য প্রথমত রোগীর নিকট থেকে রোগের ইতিহাস নিয়ে লক্ষণ সমূহ জানতে হবে। বশেষ করে তার উচ্চতা কমে গেছে কিনা, সে সামনের দিকে ঝুঁকে গেছে কিনা। এরপর রঞ্জনরশ্মির মাধ্যমে পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে হবে। এ থেকে অস্টিওপেনিয়া ও অস্টিওপরোসিস এর মধ্যে পার্থক্য করাসহ পরবর্তীতে প্রয়োজনে বিএমডি বা হাড়ের ঘনত্ব পরীক্ষা করা দরকার হতে পারে।
সেমিনারে জানানো হয়, এ ধরণের রোগীদের প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া প্রয়োজন। ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার সমূহ দুধ (যেসব সূর্যের আলোতে ঘাস খায়), ছোট মাছ, ফল, সবুজ শাকসবজি, ইত্যাদি। তবে খাবারে ভিটামিন ডি স্বয়ংসম্পূর্ণ না হলেসেজন্য সূর্যের আলো গায়ে লাগাতে হবে। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ দিনে সকাল ১১টা থেকে ২০-২৫ মিনিট করে সপ্তাহে কমপক্ষে ২ দিন সূর্যের আলো গায়ে লাগাতে পারেন। এছাড়া আমিষ খাবার খাওয়ার উপর এবং ক্যালসিয়াম ৮০০-১২০০ মি.গ্রা এবং ভিটামিন ডি ৮০০ আই ইউ সেবনের উপর গুরুত্ব দেয়া হয়। সবশেষে ধন্যবাদ জানান সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফারজানা খানম সোমা। এই আয়োজনে সাইন্টিফিক পার্টনার ছিল হেলথ কেয়ার ফার্মাসিটিক্যাল।