মো. নূর আলম ,গোপালপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি :
পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর বলে চিহ্নিত ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছের চারা অবাধে বিক্রি হচ্ছে টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার বিভিন্ন হাট, বাজার ও ভ্যানে ফেরি করে। সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও এ গাছের চারা ও কাঠের বাজার দিন দিন বিস্তৃত হচ্ছে, যা পরিবেশ ও কৃষি উভয়ের জন্যই মারাত্মক ক্ষতির কারণ।
পরিবেশবিদদের মতে, ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছ মাটির গভীর থেকে প্রচুর পানি শোষণ করে নেয়, যার ফলে আশপাশের জমি শুষ্ক হয়ে পড়ে। এছাড়া, এ গাছের নিচে অন্য কোনো গাছপালা সহজে জন্মাতে পারে না, ফলে জীববৈচিত্র্যেও ব্যাঘাত ঘটে। এমনকি এই গাছের পাতা ও ছাল পচনশীল নয়, যা মাটির উর্বরতা কমিয়ে দেয়।
গাছের চারা ব্যবসায়ীরা জানান, হাটে এসব গাছের চারা বিক্রিতে কেউ বাঁধা দিচ্ছেনা,তাই আমরা বিক্রি করি। বাঁধা দিলে তখন বিক্রি করবো না।
স্থানীয় কৃষকরা জানিয়েছেন, ইউক্যালিপটাস গাছ ও আকাশমনি দ্রুত বড় হয় এবং কাঠ বিক্রি করে সহজেই লাভবান হওয়া যায় বলেই অনেকেই এই গাছ রোপণে আগ্রহী হচ্ছেন। কিন্তু এতে জমি চাষাবাদে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হচ্ছে ।
গোপালপুর উপজেলা ভারপ্রাপ্ত বন কর্মকর্তা শফিউল ইসলাম শফিক জানান, ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি এই জাতীয় গাছ উৎপাদন ও বিক্রি সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। বিভিন্ন সময়ে নার্সারিতে গিয়ে এজাতীয় গাছের চারা নষ্ট করে দেই। উৎপাদন ও বিক্রি বন্ধের প্রচারণা করি।
গোপালপুরের সচেতন নাগরিকদের দাবি, এখনই প্রয়োজন ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছ রোপণে বন্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. তুহিন হোসেন বলেন, আমরা নার্সারি হাটবাজারে ইউক্যালিপটাস গাছের উৎপাদন ও বিক্রি বন্ধে সচেতনামূলক প্রচারণা চালাচ্ছি, নির্দিষ্ট কোন অভিযোগ থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি সরকার সরকারি, বেসরকারি ও ব্যক্তিগত পর্যায়ের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে ইউক্যালিপটাস ও আকাশমণিগাছের চারা উৎপাদন, রোপণ এবং বিক্রয় নিষিদ্ধ করেছে ।