প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “পতিত স্বৈরাচার দেশব্যাপী নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করছে। আমাদের এখন সতর্ক থাকতে হবে, যেমনটা আমরা যুদ্ধের মতো পরিস্থিতিতে ছিলাম।”
তিনি নারীদের ও শিশুদের নিরাপত্তা রক্ষায় সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, “নিপীড়নের বিরুদ্ধে সামাজিক ঐক্য গড়ে তুলুন। একে অপরের পাশে দাঁড়ান এবং একটি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়তে সরকারকে সহযোগিতা করুন।”
শনিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০২৫ উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এই মন্তব্য করেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস আরও বলেন, “আজকের বিশ্বে নারীরা যে অধিকার এবং স্বাধীনতা পাচ্ছেন, তা তাদের আন্দোলন সংগ্রামের ফলস্বরূপ। আন্তর্জাতিক নারী দিবসের সূচনা হয়েছিল নারীদের অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক সংগ্রামের মাধ্যমে। বাংলাদেশেও নারীরা ন্যায্য অধিকারের জন্য যুগ যুগ ধরে সংগ্রাম করে এসেছে।”
তিনি নারীদের ইতিহাসে অবদানের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, “বাংলাদেশের নারীরা বিভিন্ন সংগ্রামে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে, তবে অনেক বীর নারীর অবদান আমরা ভুলে গেছি। কিন্তু আমরা তাদের স্মৃতি ধরে রাখব।”
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “নারীদের অংশগ্রহণ ও অধিকার নিশ্চিত করা ছাড়া নতুন বাংলাদেশ গড়া সম্ভব নয়। এ জন্য পুরুষদেরও নারীদের সহযোদ্ধা হয়ে কাজ করতে হবে।”
সমাজে নারীদের ন্যায্য স্থান প্রতিষ্ঠার জন্য পুরুষদের সহযোগিতা ও উৎসাহের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই যেখানে প্রত্যেক পরিবারে বাবামা এবং ভাইবোনদের অধিকারের নিশ্চয়তা থাকবে।”
ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার বক্তৃতায় আরও বলেন, “আন্তর্জাতিক নারী দিবস আমাদের নারীদের সংগ্রামের ইতিহাস মনে করিয়ে দেয় এবং আমাদের অনুপ্রেরণা ও সাহস যোগায়। আমরা যত বাধাই সম্মুখীন হই না কেন, আমাদের স্বপ্নের নতুন বাংলাদেশ গড়তে কোনো কিছুরই বাঁধা হতে দেব না।”